রাষ্ট্রপতির পরামর্শ মেনে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চালাবেন বলে কর্মীদের জানিয়ে দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি তথা জিটিএ প্রধান বিমল গুরুঙ্গ। বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের ভানু ভবনে জনমুক্তি অস্থায়ী কর্মসমিতি সংগঠনের সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। গুরুঙ্গ বলেন, “জিটিএ’ যাতে ভাল ভাবে না চলতে পারে সে জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। সিকিম ও দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনি সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর পরামর্শ মেনে কাজ করব।” পাশাপাশি, তিনি এদিন অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার ব্যপারে আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “সবাইকে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্থায়ী করা হবে। সে ব্যপারে জিটিএ’তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” তিনি এদিন সুবাস ঘিসিংয়ের সমালোচনা করেন। গুরুঙ্গ বলেন, “ঘিসিং পাহাড়ের রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক। তার ফেরা না ফেরাতে পাহাড়ের মানুষের কোনও ক্ষতি হবে বা লাভ হবে না।”
এদিন সন্ধ্যায় ডুয়ার্সের বাগরাকোটে মিছিল করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তার আগে ভানু ময়দানে এক জমায়েতে তৃণমূল থেকে চা শ্রমিক নেতা নারায়ন দাস প্রধান সহ কয়েজন তাদের সংগঠনে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেন মোর্চা নেতৃত্ব। মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিনোদ ঘাতানি ওই সভায় উপস্থিতি ছিলেন। তৃণমূলের মালবাজার ব্লক সভাপতি শুভাশিস ঘোষ বলেন, “নারায়ণবাবু কোনওদিনই আমাদের দলে ছিলেন না। আমাদের কেউ যোগ দেয়নি।” এদিন বিকেলেই মালবাজার ব্লকের কাঠামবাড়ি জঙ্গলে মেচ গ্রামে গিয়ে সভা করে তৃণমূল। সভায় উপস্থিত ছিলেন উইলসন চম্প্রমারি। তিনি বলেন, “মেচবস্তি এলাকায় তরাই-ডুয়ার্স উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে উন্নয়ন করা হবে। পর্যটন মন্ত্রীকেও এই গ্রামে নিয়ে আসব।” |