গুড়াপের হোমে মৃত্যু
ফায়দা নেই বুঝে ক্ষতিপূরণে দেরি, কোর্টে অভিযোগ
বিষমদে মৃত্যু-সহ বিভিন্ন ঘটনা-দুর্ঘটনায় দ্রুত ক্ষতিপূরণের ঘোষণা হয়ে যায়। অথচ কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার তিন মাস পরেও সরকার গুড়াপের হোমে তিন আবাসিকের অপমৃত্যুতে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানায়নি। রাজনৈতিক প্রচারের ফায়দা লোটার সুযোগ না-থাকায় গুড়াপ কাণ্ডে ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজ্য সরকার উদাসীন বলে আবেদনকারীর তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে উচ্চ আদালতেই।
হুগলির গুড়াপে একটি হোমে অন্তত তিন আবাসিকের অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটে প্রায় ন’মাস আগে। হাইকোর্টের নির্দেশের তিন মাস পরেও সেই ঘটনায় ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত না-জানানোয় বৃহস্পতিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে প্রধান বিচারপতি অরুণকুমার মিশ্র এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। সরকারের মনোভাবে বিরক্ত বিচারপতিরা জানান, ১০ মে, মামলার পরবর্তী শুনানির দিন সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ না-জানালে হাইকোর্টই তার অঙ্ক ঠিক করে দেবে। শুধু তা-ই নয়, রাজ্য সরকার অন্য কোন কোন ক্ষেত্রে, কেন এবং কত ক্ষতিপূরণ দিয়েছে, ওই দিন সেই সমস্ত তথ্যও আদালতে পেশ করতে হবে।
গুড়াপের ওই হোমে মানসিক ভারসাম্যহীন তিন মহিলার মৃত্যুর কথা জানা যায় ২০১২ সালের জুলাইয়ে। তা নিয়ে জনস্বার্থের মামলায় মৃতাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ওই মামলার শুনানিতে বারবার এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছেন বিচারপতিরা। সরকার কিন্তু আদালতের কাছে বারে বারেই সময় চেয়েছে। দেরি হচ্ছে এ ভাবেই।
বৃহস্পতিবার ওই জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে মৃতদের পরিবারকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। গার্ডেনরিচে দুষ্কৃতীর গুলিতে নিহত পুলিশ অফিসারের বাড়িতে ক্ষতিপূরণ দিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। কিন্তু গুড়াপের হোমে মানসিক ভারসাম্যহীন তিন অসহায় মহিলার মৃত্যুর পরে তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে সরকার নীরব। ওই আইনজীবীর অভিযোগ, ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে দেখা হয়, প্রচারের ফায়দা লোটার সুযোগ কতটা। যাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলে রাজনৈতিক প্রচারের সুযোগ নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার অনেকটা উদাসীন। এর পরেই রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, ওই ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি। সরকারি আইনজীবীর এই বক্তব্যে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।
গুড়াপের ওই হোমে মহিলা আবাসিকদের মৃত্যুর ঘটনায় আগেই জেলা পুলিশের হাত থেকে তদন্তের দায়িত্ব সরিয়ে নিয়ে সিবিআই-কে দিয়েছিল হাইকোর্ট। সিবিআই এখনও তদন্ত করছে। শুধু গুড়াপের হোমটিই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন হোমের পরিস্থিতি কী, তা নিয়েও ওই গোয়েন্দা সংস্থাকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.