দিল্লিতে এসএফআই সমর্থকদের হাতে রাজ্যের মন্ত্রীদের নিগ্রহের প্রতিবাদে নদিয়ার চাকদহ, কল্যাণী ও গয়েশপুরে তৃণমূলের অনুগামীদের বিরুদ্ধে সিপিএমের অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। কয়েকজন বাম সমর্থকও তাদের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। বুধবার ওই আক্রান্ত কর্মীদের বাড়িতে যান জেলা বামফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল। দলে ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে, সিপিআই-এর জেলা সম্পাদক কার্তিক দাস, আরএসপির জেলা সম্পাদক অসীম ঘোষ, রাজ্যের প্রাক্তণ মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেঘলাল শেখ।
চাকদহ হয়ে দলটি গয়েশপুরে পৌঁছতেই তৃণমূল কর্মীরা ‘গো-ব্যাক’ ধ্বনি তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। একদল সমর্থক ওই বাম নেতাদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আক্রান্ত হন এক চিত্র সাংবাদিকও। তবে কারও আঘাত গুরুতর নয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। কল্যাণীর এসডিপিও চন্দ্রশেখর বর্ধন বলেন, “বাম প্রতিনিধি দলের তরফে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
সিপিএম নেতা সুমিত দে বলেন, “দিল্লির ঘটনার পর বিভিন্ন জায়গায় আমাদের দলীয় কার্যালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। মারধর করা হয় আমাদের কর্মীদের। সে সব দেখতেই এ দিন গয়েশপুরে গিয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূলের লোকজন আমাদের আক্রমণ করে। আমাদের ৭ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।”
তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌরীশঙ্কর দত্ত অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কথা বলায় সাধারণ মানুষই প্রতিরোধ করেছে। এই ঘটনায় আমাদের দলের কেউ জড়িত নন।’’
|