দিল্লিতে যোজনা কমিশনের কার্যালয়ের সামনে এসএফআই সমর্থকদের হাতে রাজ্যের মন্ত্রীদের হেনস্থার অভিযোগে বুধবারও দু’জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। এ দিন সকালে কল্যাণী স্টেশনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে শাসকদলের কর্মীরা। মঙ্গলবার রাতে হাঁসখালির বগুলায় সিটু অফিসে নিজেদের দলীয় পতাকা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের হাঁসখালি জোনাল কমিটির সম্পাদক মহাদেব ঘোষের অভিযোগ, ‘‘আমাদের শ্রমিক সংগঠনের পতাকা লাগানো ছিল ওই অফিসে। তৃণমূল কর্মীরা অফিসে চড়াও হয়ে আমাদের পতাকা খুলে দিয়ে ওদের পতাকা টাঙিয়ে দেয়।’’ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শশাঙ্ক শেখর বিশ্বাস বলেন, ‘‘জেলা পরিষদের পরিত্যক্ত একটি অফিস দখল করে রেখেছিল সিটু। |
দিল্লির ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূলের মুখোশ-মিছিল। কৃষ্ণনগরে সুদীপ ভট্টাচার্যের তোলা ছবি। |
শুনেছি ওই অফিসেই আমাদের দলের ছেলেরা তৃণমূলের পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ অন্য দিকে কৃষ্ণনগরে জেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ের তৃণমূল কর্মচারী সংগঠনের কর্মীরা এবং জেলা আদালতের তৃণমূল প্রভাবিত আইনজীবি সংগঠনের সদস্যরা এ দিন প্রতিবাদ মিছিল করেন। তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘মঙ্গলবারের দিল্লির ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার গোটা রাজ্য জুড়েই তৃণমূল ধিক্কার মিছিল করেছে।’’
বুধবার মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে প্রতিবাদসভা ও বিক্ষোভ মিছিল করে তৃণমূল সমর্থকরা। এ দিন সাগরদিঘির রেলবাজারে, বেলডাঙায়, শক্তিপুরে, নওদায়, বহরমপুরে, কান্দির বিশ্রামতলায়, যশোহরি-আনুখায়, জীবন্তি মোড়ে, হাটপাড়ায় ও ভরতপুর, সালার, নগরে বিক্ষোভ মিছিল করেন শাসকদের সমর্থকরা। দৌলতাবাদে কিছু ক্ষণ বহরমপুর-ইসলামপুর রাজ্য সড়ক অবরোধও করে বিক্ষোভকারীরা। সমসেরগঞ্জের বাসুদেবপুরে এসএফআই-এর সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। |