|
|
|
|
মুন্নাভাইকে আরও চার সপ্তাহ সময়, উঠছে প্রশ্ন |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বিভিন্ন ফিল্মে তাঁর জন্য অনেক টাকার বিনিয়োগ করা হয়েছে। তাই অসমাপ্ত কাজগুলি শেষ করার জন্য মানবিকতার খাতিরে সঞ্জয় দত্তকে আজ আরও চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে এর পরে তাঁকে জেলে ঢুকতেই হবে।
১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণ মামলার রায়ে সঞ্জয়কে বেআইনি অস্ত্র রাখা ও সাক্ষ্য লোপাটের দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। দেড় বছর ইতিমধ্যেই জেল খাটা হয়ে গিয়েছে সঞ্জয়ের। বাকি সাড়ে তিন বছরের মেয়াদ পূরণ করতে ফের জেলে ঢুকতে হবে তাঁকে। যদিও ওই একই মামলায় বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে জেবুন্নিসা কাজির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে আরও চার জনের।
একই মামলায় একই অভিযোগের ক্ষেত্রে সঞ্জয় দত্ত বাদে বাকিদের আবেদন খারিজ হওয়ায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মুম্বই বিস্ফোরণে মাকে হারিয়েছেন তুষার দেশমুখ। সঞ্জয় দত্ত চার সপ্তাহ অতিরিক্ত সময় পাওয়ায় দৃশ্যতই হতাশ তুষার জানান, “এটা ঠিক হল না। সঞ্জয়কে ফিল্মে নেওয়ার আগে প্রযোজকদের এক বার ভেবে দেখা উচিত।” জেবুন্নিসার মেয়ে শগুফতা কাজি বলেন, “স্বাস্থ্যের কারণে মায়ের জামিনের আবেদন করেছিলাম। অথচ প্রযোজকদের কথা ভেবে সঞ্জয়কে চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হল, মাকে হল না।”
প্রসঙ্গত আগামী কাল সঞ্জয়ের আত্মসমর্পণের কথা ছিল। পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণা হওয়ার পরে ২৮ মার্চ সাংবাদিক সম্মেলনে সঞ্জয় জানান, কোনও ক্ষমাভিক্ষার আর্জি তিনি জানাবেন না। বরং সঞ্জয়ের হয়ে ক্ষমাভিক্ষার আর্জি রাজ্যপালের কাছে জমা দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং প্রেস কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান মার্কণ্ডেয় কাটজু।
তবে কাটজুর এই পদক্ষেপে দেশের আইনজীবী মহলে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। মিজোরামের অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিৎ দেব বলেন, “যেখানে সঞ্জয় নিজেই জামিনের আবেদন জানাননি সেখানে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি হিসাবে কাটজুর এই আচরণ কি ঠিক?” এটা বিচার ব্যবস্থার উপর সরাসরি প্রভাব বিস্তার করার সামিল বলে জানান তিনি। বিশ্বজিতের মতে, এর পরে সাধারণ মানুষের মনে বিচার ব্যবস্থার প্রতি একটা ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে। এমনকী কাটজুর এই পদক্ষেপে বিচারপতিরা কী করে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করবেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিশ্বজিৎ। |
পুরনো খবর: ভিতরে ভেঙে খানখান হয়ে যাচ্ছি |
|
|
|
|
|