দিল্লিতে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে হেনস্থার ঘটনার তদন্ত চলছে বলে কলকাতায় বুধবার জানিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল শিন্দে। প্রশ্নের উত্তরে শিন্দে বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক বিশেষ সচিব ঘটনাটির তদন্ত করছেন। রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।” তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় খুশি নন তৃণমূল নেতৃত্ব। অবিলম্বে তারা অভিযুক্তদের গ্রেফতার চায়। চাপ বানাতে চায় কেন্দ্রের উপরও। এই লক্ষ্যেই আগামী রবিবার কলকাতায় তারা পথেও নামছে। সোমবার সংসদেও বিষয়টি তুলতে চায় তৃণমূল।
দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সাংসদ এবং তৃণমূল যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ঘটনার পরে ১০ দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তদের কাউকে এখনও পর্যন্ত পুলিশ
|
কলকাতায় শিন্দে।
—নিজস্ব চিত্র |
গ্রেফতার করেনি। পার্থবাবু বলেন, “আগে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে দেখাক।”
বিশেষত, প্রেসিডেন্সি-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে এবং তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থ বসু ও ছাত্র নেতা তমোঘ্ন ঘোষ আদালতে আত্মসর্মপণ করায় পার্থবাবু রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে দিল্লির তুলনা টেনেছেন। তিনি বলেন, “বাংলায় প্রশাসন যে আছে তা মানুষ জানে। কিন্তু রাজধানী দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও নিরাপত্তা কেমন তা-ও মানুষ দেখেছে।”
শিন্দে যে তদন্তের কথা বলেছেন তা নিয়ে শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া, “ওঁরা কী করছেন তা কাজে প্রমাণ দিন। সে দিন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদের উপর যে হামলা হয়েছিল তার টিভি ফুটেজ তো পুলিশের কাছে আছে। এসএফআই নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, শতরূপ ঘোষেদের সঙ্গে কারা কারা ঘটনা ঘটিয়েছে তা পরিষ্কার দেখা যাবে ওই ফুটেজে। তা হলে অভিযুক্তদের ধরতে এত সময় লাগছে কেন?” দিল্লি-কাণ্ডে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে শুভেন্দুর নেতৃত্বে আগামী রবিবার দুপুর ২টোয় রানি রাসমণি অ্যাভেনিউয়ে প্রতিবাদ সভা হবে।
শুভেন্দু বলেন, “সভার আগে পার্কসাকার্স, শ্যামবাজার পাঁচ মাথা মোড়, রবীন্দ্র সদন এবং হাওড়া থেকে চারটি মহামিছিল রানি রাসমণিতে আসবে।” সংগঠনের পক্ষ থেকে আগে এই কর্মসূচি শনিবার হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু শুভেন্দু জানান, শনিবার ইডেনে আইপিএলের ম্যাচ আছে। ওইদিন সভা না করার জন্য পুলিশের তরফে তাঁদের অনুরোধ করা হয়েছিল মিছিল না করার জন্য। তাঁরা পুলিশের সেই অনুরোধ মেনে নিয়ে রবিবার সভা করছেন। |