|
|
|
|
মমতা-অমিতকে হেনস্থা |
পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দিল্লিকে চাপ রাজ্যের |
প্রেমাংশু চৌধুরী • নয়াদিল্লি |
যোজনা কমিশনের সামনে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর হেনস্থার ঘটনায় দিল্লি পুলিশের উপর চাপ তৈরি করছে রাজ্য সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তথা দিল্লি পুলিশকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। পাশাপাশি, ঘটনার সময়ে যে পুলিশ অফিসার ও কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই বা কেন বিভাগীয় পর্যায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে রাজ্যের তরফে। সরকারি সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায় এ বিষয়ে দিল্লির পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমারের সঙ্গে কয়েক দফায় কথাবার্তাও বলেছেন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে দিল্লি পুলিশের তরফে ঘটনাস্থলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক অফিসারকে জেরা করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের তরফে সে কথা রাজ্য পুলিশকর্তাদের জানানো হয়েছে। কিন্তু, তদারকির দায়িত্বে থাকা অফিসার ও সংশ্লিষ্ট পুলিশদের বিরুদ্ধে কেন কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছ থেকে মেলেনি বলে রাজ্য পুলিশ সূত্রের দাবি। |
|
মঙ্গলবারের সেই ঘটনা। —ফাইল চিত্র |
ঘটনাচক্রে, বুধবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দের বাসভবনে নিরাপত্তা এড়িয়ে ঢুকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই ঘটনার পরে গাফিলতির অভিযোগে এক সাব ইন্সপেক্টর-সহ ৫ পুলিশকে সাসপেন্ড করেছেন দিল্লি পুলিশ কর্তৃপক্ষ। ১৪২ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এই ঘটনার পরে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের অফিসারেরা ফের দিল্লি পুলিশকর্তাদের কাছে ক্ষোভ জানান। প্রশ্ন তোলেন, যদি শিন্দের বাসভবনে বিক্ষোভের জেরে পাঁচ জন পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করা হয়, তা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অমিত মিত্রকে হেনস্থার ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ করা হবে না?
এই চাপের মুখে পড়ে দিল্লি পুলিশ কিছুটা হলেও বিব্রত। কারণ, রাজ্য সরকারের তরফে দিল্লিতে নিযুক্ত রেসিডেন্ট কমিশনার ভাস্কর খুলবে যে অভিযোগ করেছেন, তাতেও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও সরাসরি ঋতব্রতর নাম করে অভিযোগ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে ঋতব্রতকে গ্রেফতারের জন্য দিল্লি পুলিশের উপর চাপ তৈরি হয়েছে।
ফলে, দিল্লি পুলিশ অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজে জোর দিয়েছে বলে সরকারি সূত্রেই জানা গিয়েছে। এর মধ্যেই একাধিক বৈদ্যুতিন মাধ্যমের ‘ভিডিও ফুটেজ’ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের কার কী ভূমিকা, তা নির্দিষ্ট করা হচ্ছে। দিল্লি পুলিশের কর্তারা অবশ্য তাঁদের উপরে কোনও চাপের কথা মানতে রাজি নন।
ডেপুটি কমিশনার (নয়াদিল্লি) এস বি এস ত্যাগী বলেন, “যোজনা কমিশনের ঘটনায় সমস্ত প্রামাণ্য বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৈদ্যুতিন মাধ্যমের কাছে যে সব ভিডিও ফুটেজ রয়েছে, সেগুলিও আমরা খতিয়ে দেখছি। আইন মেনে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
পুরনো খবর: রাজধানীতে এসএফআইয়ের হাতে নিগৃহীত অমিত মিত্র |
|
|
|
|
|