রাজধানীতে এসএফআইয়ের হাতে নিগৃহীত অমিত মিত্র
সএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যু ঘিরে তাঁর উপর যে চাপ ছিল, এসএফআই-এরই জঙ্গি আন্দোলনের জেরে তার অনেকটা মুছে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ মন্ত্রিসভার সতীর্থদের নিয়ে মমতা যখন যোজনা কমিশন দফতরে ঢুকতে যাচ্ছেন, তখন তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এক দল এসএফআই সমর্থক। নিরাপত্তারক্ষীরা মমতা, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমকে আগলে কোনও মতে যোজনা ভবনে ঢুকিয়ে দিতে পারলেও অন্য গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করা অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বিক্ষোভকারীদের হাতে নিগৃহীত হন। তাঁর ধুতি ছিঁড়ে দেওয়া হয়। অমিতবাবুর মাথায়ও আঘাত লাগে।
এর পরেই যোজনা কমিশনের দফতরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। কমিশনের ডেপুটি চেয়ারপার্সন মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়া, যোজনা প্রতিমন্ত্রী রাজীব শুক্লের কাছে নালিশ জানানোর পাশাপাশি অমিতবাবু ও সুব্রতবাবুকে পাশে নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সিপিএমের এই গুন্ডারা রাজ্যের উন্নয়ন বন্ধ করতে চায়। সে কারণেই আমার যোজনা কমিশনে আসা রুখতে চেয়েছিল। ওদের এক জনের হাতে লোহার রড ছিল। ফিরহাদ না-থাকলে আমি মরেই যেতাম।” রাতে অসুস্থ মমতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক বাতিল করে দেন। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অমিতবাবু। ডাক্তার দেখিয়েছেন সুব্রতবাবুও। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝে তড়িঘড়ি ঘটনার নিন্দা করেছে সিপিএম। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেন, “কোন রাজনীতি থেকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে জানি না।
যোজনা কমিশনের ফটকে আক্রান্ত রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা পুলিশের। ছবি: পিটিআই
এটা ভুল রাজনীতি।” দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসুও এই ঘটনাকে অবাঞ্ছিত এবং নিন্দাজনক বলেছেন। তবে যাঁর নেতৃত্বে এ দিন বিক্ষোভ চলছিল, সেই এসএফআই নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় পরে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে দাবি করেন, তাঁদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কাউকে আক্রমণ করা তাঁদের বিক্ষোভের লক্ষ্য ছিল না।
সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্ব নিন্দা করলেও ক্ষতি কিন্তু তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। সুদীপ্তর মৃত্যুর ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়া তৃণমূল ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগের গন্ধ পেয়ে পথে নেমে পড়েছে। দিল্লির ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যা থেকেই আন্দোলন শুরু করে দেয় তারা। যার জেরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সিপিএমের অফিস ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হয় দুই প্রাক্তন মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা এবং সুদর্শন রায়চৌধুরীর গাড়িও। খোদ মমতা দলীয় কর্মীদের শান্ত ও সংযত থাকার নির্দেশ দিলেও রাত পর্যন্ত হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে বলে বিরোধী শিবিরের অভিযোগ। যদিও শাসক দল সেই অভিযোগ মানতে নারাজ। বরং সিপিএমের বিরুদ্ধে সমালোচনা আরও তীব্র করে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “ওঁরা যা করেছেন, তার জন্য শহিদ মিনারে সভা করে করজোড়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত।” দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্যের মন্ত্রীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার কলকাতায় মিছিল করা হবে। দিল্লিতেও বুধবার সকাল ১১টা থেকে যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসবেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
ঠিক কী হয়েছিল এ দিন?
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটের সময় মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়ার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নির্ধারিত ছিল। তার আধ ঘণ্টা আগে এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি দল প্ল্যাকার্ড হাতে জমা হয় কমিশনের মূল গেটের সামনে। ওই দলে ছিলেন সিপিএমের দিল্লি রাজ্য কমিটি এবং মহিলা সংগঠনের কিছু সদস্যও। সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর জবাবদিহি চেয়ে মমতা-বিরোধী স্লোগান উঠতে থাকে জমায়েত থেকে। কমিশনের গেট ধরে চলতে থাকে প্রবল ঝাঁকুনি। অবস্থা বুঝে মূল গেটে শেকল দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ভিতরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি বুঝে দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনার ভাস্কর খুলবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খবর পাঠান, তিনি যেন পিছনের ভিআইপি গেট দিয়ে ভিতরে ঢোকেন।
পরে কমিশনের দফতরে উপাধ্যক্ষ মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়া এবং কেন্দ্রীয়
মন্ত্রী রাজীব শুক্লকে অমিতবাবুর ছিঁড়ে ফালাফালা হওয়া পাঞ্জাবি দেখাচ্ছেন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ইয়াসির ইকবাল
কিন্তু কমিশনের দফতরের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখেও মমতা অন্য গেট দিয়ে ঢুকতে অস্বীকার করেন। সঙ্গীদের জানান, ‘এসএফআই-এর ভয়ে অন্য গেট দিয়ে যাওয়ার প্রশ্নই নেই’। তিনি গাড়ি থেকে নেমে মূল গেটের কাছে যেতেই দু’পক্ষে প্রবল ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। তার মধ্যেই মূল গেটের শেকল-তালা খুলে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সঙ্গীদের ভিতরে ঢোকানোর তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। এ সময় এক দিকে বিক্ষোভ-স্লোগান আর অন্য দিকে মুখ্যমন্ত্রী-সুব্রতবাবু ও ফিরহাদ হাকিমকে ঘিরে ধরে ভেতরে ঢোকানোর জন্য নিরাপত্তারক্ষীদের ঠেলাঠেলি সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সাময়িক ভাবে পুলিশের হাতের বাইরে চলে যায়। ইতিমধ্যে গেট খুলে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের ঠেকিয়ে রেখে কোনও রকমে ভিতরে ঢুকে যান মমতা-সুব্রত। মুখ্যমন্ত্রীকে কিছুটা আড়াল করে ভিতরে ঢুকে পড়েন ফিরহাদও। কিন্তু ভিড়ে আটকে পড়েন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। সে সময় তিনি চেষ্টা করেন পাশের একটি গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকতে। আর তা করতে গিয়েই এসএফআই সমর্থকদের ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়েন তিনি। অমিতবাবুকে একা পেয়ে ঘিরে ধরে মারমুখী এসএফআই সমর্থকরা। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। এ দিন ঘটনাস্থলে দিল্লি পুলিশের তেমন বড় মাপের কোনও কর্তা ছিলেন না। ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। সামান্য সংখ্যক পুলিশ অমিতবাবুকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও পারেননি। এর মধ্যেই তাঁর মাথায় প্ল্যাকার্ডের বাড়ি এসে পড়ে। ছিঁড়ে দেওয়া হয় তাঁর পরনের পাঞ্জাবি। খুলে দেওয়া হয় ধুতিও। পুলিশ কোনও মতে তাঁকে সরিয়ে এনে অন্য গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়।নীচে যখন এই ঘটনা চলছে, তখন দোতলায় কমিশনের অন্য সদস্যদের নিয়ে অপেক্ষায় মন্টেক। ভিতরে ঢুকেই সামনে দাঁড়ানো সাংবাদিক ও নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। তিনি বলেন, “এটা কী ধরনের রাজনীতি? ওরা ২০ জন লোক নিয়ে গুন্ডামি করছে। আমি ১০ লাখ লোকের ঢল দিল্লিতে নামিয়ে ওঁদের দেখিয়ে দিতে পারি।” তত ক্ষণে পুলিশের হস্তক্ষেপে ভিতরে ঢোকেন অমিতবাবু। পাশে দাঁড়ানো সুব্রতবাবু ও অমিতবাবুকে কী ভাবে এসএফআই সমর্থকরা হেনস্থা করেছে, তা-ও সাংবাদিকদের সামনে উত্তেজিত ভাবেব্যাখ্যা করেন মমতা। দুই মন্ত্রী তখন দৃশ্যতই অসুস্থ। সুব্রতবাবুর হাতে ছড়ে যাওয়ার দাগ। ক্ষুব্ধ মমতার বক্তব্য, “ওরা আজ আমাদের মেরেই ফেলতে চেয়েছিল।” রীতিমতো হুঙ্কার দিতে দিতেই এক তলার করিডরে মন্টেকের মুখোমুখি হন মমতা। কী ভাবে মমতাকে সামলাবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না মন্টেক। মমতার তোপের মুখে পড়েন যোজনা কমিশনের প্রতিমন্ত্রী রাজীব শুক্লও। সরাসরি প্রশাসন এবং পুলিশকে দায়ী করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “পুলিশ কী করছিল? কেন একজন মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধান গেট দিয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না?” পুলিশ, কমিশনের কর্তারা, আলোকচিত্রী, নিরাপত্তা কর্মী সব মিলিয়ে যোজনা কমিশনের করিডর তখন যেন রণক্ষেত্র! সব ছাপিয়ে শোনা যাচ্ছে মমতার গলা।
নিরাপত্তা নিয়ে মন্টেকের কাছে ক্ষোভ জানাচ্ছেন মমতা। ছবি: ইয়াসির ইকবাল
হাতজোড় করে তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন মন্টেক এবং রাজীব। তাঁদের প্রতি মমতার প্রশ্ন, “আমি যদি যোজনা কমিশনের অফিসের সামনেও নিরাপদ না হই, তা হলে কোথায় আমার নিরাপত্তা রইল?” পরে মন্টেকের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কলকাতা থেকে দু’তিন জন এসেছিল। তারাই উস্কানি দিয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছে।”
মমতা আক্রান্ত হওয়ার খবরে তোলপাড় পড়ে যায় রাজধানীতে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। জানতে চান, কী ভাবে হল এমন ঘটনা। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় দ্রুত গোয়েন্দা প্রধানের বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। দিল্লি পুলিশের তরফে গোয়েন্দা প্রধানকে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভের খবর পেতেই মমতাকে পিছনের ভিআইপি গেট দিয়ে ভিতরে ঢোকার অনুরোধ করা হয়েছিল। মমতা তাঁদের অনুরোধ উপেক্ষা করে ভিতরে ঢুকতে গেলেই সমস্যা বাড়ে। মমতা কথা শুনলে এই ঘটনা এড়ানো যেত বলেও দাবি দিল্লি পুলিশের।
মন্ত্রীদের নিগ্রহের ঘটনার নিন্দা করার পাশাপাশি প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ও বলেন, “ওখানে বিক্ষোভ চলছিলই। পুলিশ ওই গেট দিয়ে যেতে মুখ্যমন্ত্রীকে বারণও করেছিল। তার পরেও মুখ্যমন্ত্রী ওখানে গিয়ে প্ররোচনা দিয়েছেন।” তবে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য, যোজনা ভবনের কোন দরজা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বা অর্থমন্ত্রীর ঢোকা উচিত ছিল, কী হলে কী হতে পারত এই সব বিতর্কে যাওয়ার কোনও অবকাশ এখন নেই।
দিল্লি পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। তবে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই কেন বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করা হল না, সে প্রশ্ন তুলে পার্থবাবুর ইঙ্গিত, কংগ্রেস বামেদের তুষ্ট রাখতে চায় বলেই নরম মনোভাব নেওয়া হচ্ছে।
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উত্তপ্ত এসএফআই-বাহিনীর
কবলে অমিত মিত্র। মঙ্গলবার, নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই
এ দিনের ঘটনার জেরে রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মমতা। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার সময় তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নির্ধারিত ছিল। রাজ্য সরকারের তরফে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়কে জানিয়ে দেওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রী অসুস্থ। যেতে পারবেন না। বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রস্তাবিত বৈঠকটিও বাতিল হয়েছে। আগামিকালই কলকাতায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুকুল রায় জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী পরে মমতাকে ফোন করে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। তাঁদের মধ্যে নির্ধারিত বৈঠক পরে করবেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান মমতা। সন্ধ্যায় এইমস-এর চিকিৎসকদের একটি দল মুখ্যমন্ত্রীকে পরীক্ষা করেন। মমতার ব্যক্তিগত সচিব রতন মুখোপাধ্যায় জানান, “ওঁর রক্তচাপ কমেছে। পালস রেট যথেষ্ট কম। শ্বাসের একটা সমস্যা ছিলই। সেটা বেড়েছে। ডাক্তার দেখে ওষুধ দিয়েছেন।” এইমস-এর চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও তিনি তা শোনেননি। তবে অমিতবাবুকে এইমস-এ ভর্তি করা হয়েছে। সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা।

সংযত থাকুন, শান্ত থাকুন। শান্তিপূর্ণ ভাবেই দিল্লির ঘটনার
প্রতিবাদ করুন। কোনও রকম প্ররোচনায় পা দেবেন না।
হিংসাত্মক ঘটনা ঘটাবেন না। যাঁরা আইন ভাঙবেন,
প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

আমরা ছাত্রদল

যা হয়েছে, তা খুব বাজে ব্যাপার। উনি এক জন মন্ত্রী। একটা সরকারি কাজে গিয়েছেন। সেখানে ওঁর উপরে চড়াও হয়ে আক্রমণ করাটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
সুশোভন মণ্ডল।
প্রতিবাদ করার অধিকার অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু তার পদ্ধতি কী হবে? এ ভাবে মারধর করে প্রতিবাদ জানানো কখনই সমর্থনযোগ্য নয়। তা ছাড়া, অমিত মিত্র এক জন নির্বাচিত প্রতিনিধি, ওঁর একটা সামাজিক সম্মান আছে। সেটা ওঁকে দেওয়া উচিত।
অক্ষয় দীক্ষিত।
প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে হিংসা, হানাহানি কেন করতে হবে, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু এখন তো দেখি, হিংসাই প্রতিবাদ করার একমাত্র রাস্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঈপ্সিতা চট্টোপাধ্যায়।
প্রতিবাদ দেখানোর অনেক পথ রয়েছে। কিন্তু কাউকে মারধর, হেনস্থা করে প্রতিবাদ সমর্থন করি না। এই প্রতিবাদের পিছনে এক জন সদস্যের মৃত্যুর শোকের প্রভাব কতটা, সেটাও তো ভেবে দেখার!
রন্তিদেব মুখোপাধ্যায়।
সুদীপ্তর মৃত্যু দুঃখের। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো উচিত। কিন্তু সেই প্রতিবাদে হিংসা থাকবে কেন? এটা সমর্থনযোগ্য নয়।
আবাহন দত্ত।
সুদীপ্তর মৃত্যু দুঃখজনক। অমিত মিত্রকে এ ভাবে হেনস্থা করাও কিন্তু দুঃখজনক। তা ছাড়া, অমিতবাবু একটা রাজ্যের মন্ত্রী। সমাজে ওঁর একটা জায়গা রয়েছে। সব দিক বিবেচনা করেই বলছি, এ ভাবে প্রতিবাদ জানানো মোটেই সমর্থন করি না।
সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.