নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
দিল্লিতে মন্ত্রী-নিগ্রহের প্রতিবাদে যে পুলিশকর্মীরা উর্দি পরে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না তা জানালেন না আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ।
মঙ্গলবার ওই ঘটনার পরেই সব মহলে সমালোচনা শুরু হয়। পুলিশ কমিশনার জানান, বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে অভিযোগ করে বুধবার তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আবেদন জানায় সিপিএম। কিন্তু তদন্তে কী পাওয়া গেল, আদৌ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, পুলিশ কমিশনার তা জানাতে চাননি।
শুধু বিরোধীরাই নন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন শহরের বিশিষ্ট নাগরিকেরাও। আসানসোল আদালতের আইনজীবী শেখর কুন্ডু বলেন, “প্রতিবাদ করার গণতান্ত্রিক অধিকার পুলিশেরও আছে। কিন্তু পুলিশ আইনে কোনও ভাবেই উর্দি পড়ে বিক্ষোভের সুযোগ নেই। সাধারণ পোশাকে এই কাজ করলে কারও কিছু বলার ছিল না।” চিত্তরঞ্জন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অরুণাভ দাশগুপ্তও বলেন, “পুলিশ সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। |
লেফট রাইট |
দিল্লিতে তৃণমূল নেতৃত্বের হেনস্থার প্রতিবাদে উর্দি পরে বিক্ষোভ দেখিয়ে
জনতার
নজর আর
বিরোধীদের নিন্দা কুড়িয়েছে
আসানসোলের
পুলিশ।
কী বলছেন নাগরিকেরা? পুলিশকর্তা? |
|
অজয় নন্দ,
পুলিশ কমিশনার
|
তদন্ত চলছে |
|
শেখর কুণ্ডু,
আইনজীবী, আসানসোল |
পুলিশ প্রতিবাদ করতেই পারে।
উর্দি না থাকলে আপত্তি ছিল না।
|
|
অরুণাভ দাশগুপ্ত,
প্রাক্তন অধ্যক্ষ |
পরে অন্য মতের পুলিশকর্মীরাও
নামতে পারে। শৃঙ্খলা শিকেয়। |
|
রাজেন্দ্রপ্রসাদ খেতান,
ব্যবসায়ী |
পুলিশ রং নেবে কেন?
সৎবুদ্ধির কেউই
সমর্থন করবেন না। |
|
দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়,
চিকিৎসক |
নিয়ম-বিরুদ্ধ, লজ্জাজনক
কাজ। বিশৃঙ্খলার নামান্তর। |
|
তাঁদের অধিকার আছে প্রতিবাদ করার। কিন্তু উর্দি পরে এ সব করলে ভুল ব্যাখ্যা হয়। আগামী দিনে অন্য মতের পুলিশকর্মীরা অন্য বিষয়ে প্রতিবাদ করার জন্য যদি এই পথ নেন তা হলে শৃঙ্খলা তলানিতে ঠেকবে।” চিকিৎসক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, “দিল্লির ঘটনা নিন্দনীয়। কিন্তু তার প্রতিবাদে পুলিশ যা করেছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। নিয়মবিরুদ্ধ কাজ। বিশৃঙ্খলার নামান্তর।” ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সম্পাদক রাজেন্দ্রপ্রসাদ খেতান বলেন, “পুলিশ রাজনৈতিক রঙ ধরবে কেন? কোনও সৎবুদ্ধির মানুষ এটা সমর্থন করবেন না। নিরপেক্ষতার কী হবে? প্রশাসন কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করুক।”
|