নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
শিল্পাঞ্চলের একাধিক জায়গায় সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও সদস্য সমর্থকদের উপর আক্রমনের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি দিল সিপিএমের একটি প্রতিনিধি দল।
বুধবার দুপুর একটা নাগাদ পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই দলটি আসানসোলের পুলিশ কমিশনারের দফতরে এসে স্মারকলিপি জমা দেয়। সিপিএমের অভিযোগ, গত ৯ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে ১৩ এপ্রিল রাত পর্যন্ত দুই মহকুমার একাধিক জায়গায় প্রায় ৪০টি সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন লাগানো হয়েছে। রানিগঞ্জের পুরপ্রধান-সহ প্রায় ১৮ জন দলীয় সদস্য ও গণ সংগঠনের সদস্যকে মারধর করা হয়েছে বলেও জানান তাঁরা। এদের মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালেও ভর্তি। সবক’টি ঘটনা মিলে কমপক্ষে দেড়শো জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁরা। তবে পুলিশ কোনও ঘটনারই তদন্ত করেনি এবং একজনকেও গ্রেফতার করেনি বলেও তাঁদের অভিযোগ। গৌরাঙ্গবাবুর অভিযোগ, তাঁদের দলীয় কর্মী সদস্যদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা চাই রাজনৈতিক সংঘর্ষ বন্ধ করতে পুলিশ সর্বদল বৈঠক করুক।” এ দিন সিপিএমের তরফে তাঁদের বিভিন্ন কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের একাধিক ছবি ও ভিডিও ফুটেজও পুলিশ কমিশনারকে দেওয়া হয়। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে।
তবে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের বর্ধমান জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, সিপিএমের পায়ের তলা থেকে জমি সরে গিয়েছে। তাই তৃণমূলকে দায়ী করে জমি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে সিপিএম। অপূর্ববাবু বলেন, “ওরা কমিশনারকে স্মরকলিপি দিয়েছেন। এখন কমিশনারই দেখবেন ওইসব ঘটনায় কারা জড়িয়ে ছিল।” |