নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর ও রানিগঞ্জ |
বামেদের অফিসে হামলার অভিযোগ উঠল কাঁকসা ও রানিগঞ্জে।
কাঁকসার এগারো মাইল গ্রামে একটি বন্ধ পড়ে থাকা কৃষকসভার কার্যালয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ এই ঘটনার পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। সিপিএমের কাঁকসা জোনাল কমিটির সদস্য অজিত ঘোষ জানান, ৯ এপ্রিল দিল্লিতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের উপর নিগ্রহের প্রতিক্রিয়ায় ওই কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল। |
কাঁকসায় কৃষকসভার ও রানিগঞ্জে সিপিএমের অফিস। নিজস্ব চিত্র। |
তাঁর কথায়, “এর পর যে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হবে, তা ভাবিনি।” প্রদেশ তৃণমূল সদস্য তথা কাঁকসার প্রাক্তন ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী জানান, দমকল কী ভাবে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করলেই বোঝা যাবে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়।
শনিবার রাতে রানিগঞ্জে সাহেববাঁধ পাড়ায় চিনকুঠি মোড়েও সিপিএমের একটি অফিসে তৃণমূলের লোকজন ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। সিপিএম নেতাদের দাবি, পরপর তিন দিন রানিগঞ্জের রতিবাটি, নতুন এগারা, স্কুলপাড়া ও অশোকপল্লিতে সিপিএমের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। স্কুলপাড়ায় সিপিএমের অফিসে আগুন লাগানো হয় বলেও অভিযোগ। বাউলহির এলাকায় এক সিপিএম সমর্থকের দোকান ভাঙচুরেও অভিযুক্ত তৃণমূল। রানিগঞ্জের তৃণমূল নেতাদের অবশ্য পাল্টা দাবি, সিপিএমের লোকজন সহানুভূতি আদায়ের জন্য নিজেদের অফিসে আগুন লাগাচ্ছে।
|