প্রাথমিকের প্রশিক্ষণ গ্রীষ্ম আর পুজোর লম্বা ছুটিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সারা সপ্তাহ দিনভর পড়িয়ে সপ্তাহান্তে ফের প্রশিক্ষণ নিতে দৌড়। সপ্তাহ-শেষের বিশ্রাম শিকেয়। প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই হয়রানির কিছুটা সুরাহা হতে চলেছে। তাঁদের প্রশিক্ষণ-সূচি ঢেলে সাজা হচ্ছে। নতুন ব্যবস্থায় এক বা দু’বছরের বকেয়া ডিএলএড (আগের পিটিটিআই) প্রশিক্ষণ নিতে আর সপ্তাহের শেষে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ছুটতে হবে না। গ্রীষ্ম ও পুজোর ছুটিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের টানা ক্লাস নিয়ে প্রশিক্ষণের কাজ শেষ করা হবে।
বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলির চেয়ারম্যান, জেলা স্কুল পরিদর্শক এবং অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পরে রাজ্য প্রাথমিক পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য এই নতুন ব্যবস্থার কথা জানান। যাঁদের এক বছরের প্রশিক্ষণ নিতে হবে, তাঁদের ২৬ দিন এবং যাঁদের দু’বছরের প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা, তাঁদের ৬০ দিন ক্লাস করতে হবে।
পর্ষদ-প্রধান জানান, রাজ্যের ৭২০টি সার্কেল অফিস থেকে পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না-পাওয়া পর্যন্ত কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকাকে আর তাঁদের পুরনো কেন্দ্রে যেতে হবে না। সারা সপ্তাহ ক্লাস নেওয়ার পরিশ্রমের পরে তাঁদের যাতে ফের দৌড়ঝাঁপ করতে না-হয়, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা বলে মন্তব্য করেন চেয়ারম্যান। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, প্রশিক্ষণের জন্য অনেক দূরের জেলায় যেতে বলা হয়েছে শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে। এ বার সব শিক্ষকই যাতে নিজের জেলায় প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পান, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ করে মহিলা এবং প্রতিবন্ধীদের কাছের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। সে-ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণের কেন্দ্রও পরিবর্তিত হবে।
ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)-এর নিয়ম অনুযায়ী এক বছরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মরত সব প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকেই এক বছরের ব্রিজ কোর্স করতে হবে। কর্মরত যে-সব শিক্ষকের আদৌ কোনও প্রশিক্ষণ নেই, এনসিটিই-র নিয়ম মেনে তাঁদের নিতে হবে দু’বছরের প্রশিক্ষণ। গত শনিবার প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পর্ষদের অব্যবস্থায় অনেককেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়েও প্রশিক্ষণ না-নিয়ে ফিরে যেতে হয়।
|