শনিবারের পরে রবিবারেও। কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকদের এক বছরের ব্রিজ কোর্সের প্রথম দিনের মতো কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকদের দু’বছরের পাঠ্যক্রম শুরুর প্রথম দিনেও পর্ষদ এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের অভিযোগ উঠল। রবিবার ওই শিক্ষকদের দু’বছরের ডিপ্লোমা-ইন-এলিমেন্টরি এডুকেশন (ডিএল-ইডি) প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার কথা ছিল।
শনিবারও পর্ষদ এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে কর্মরত শিক্ষকদের অনেকেই হয়রানির শিকার হন। বহু জায়গাতেই প্রশিক্ষণ না নিয়ে তাঁদের ফিরে যেতে হয়। রবিবারও একই ঘটনার পুনারাবৃত্তি ঘটল।
শনিবারের ঘটনার পরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, রবিবার দু’বছরের প্রশিক্ষণে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু রবিবারও সকাল থেকে কলকাতার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অব্যবস্থার অভিযোগ ওঠে। এ দিন সকালে লরেটো সেন্ট মেরিজ আরসি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে কলকাতা ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৯৪ জন শিক্ষক হাজির হন। কিন্তু মেয়েদের মিশনারি প্রতিষ্ঠানে ছেলেদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হওয়ায় বিভ্রান্তি ছড়ায়।
পরিস্থিতি বুঝে ঘটনাস্থলে হাজির হন মানিক ভট্টাচাযর্। তবে বিভ্রান্তির কথা মানতে চাননি তিনি। মানিকবাবুর বক্তব্য, সামান্য সমস্যা হয়েছিল। অধ্যক্ষার সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে।
কর্মরত যে সব শিক্ষকের আদৌ প্রশিক্ষণ নেই, এনসিটিই-র নিয়মে তাঁদের দু’বছরের এই প্রশিক্ষণ নিতে হবে। রাজ্যে এমন শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার।
|