ফের শুরু জ্ঞানেশ্বরীর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ
জ্ঞানেশ্বরী মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হল বৃহস্পতিবার। এ দিন সাক্ষ্য দেন ঝাড়খণ্ডের এক গেস্ট হাউসের কর্মচারী ব্রজেশ প্রধান। এই গেস্ট হাউসেই লুকিয়ে ছিলেন ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত মনোজ ওরফে বাপি মাহাতো। এখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এ দিন সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন ওই গেস্ট হাউসের মালিক সন্তোষ রাইও। তবে তাঁর আর সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি।
জ্ঞানেশ্বরী মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। প্রথম পর্যায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ চলে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সেই পর্বে সাক্ষ্য দেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের চালক বিভয়কুমার দাস, গার্ড শ্রীবাসচন্দ্র ঘোষ, সহ-চালক ত্রিলোচন দেবাঙ্গন, বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট অপূর্বকুমার ঘোষ, দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির চালক নির্ভয় কুমার। প্রথম পর্যায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছিল ৮ এপ্রিল। কিন্তু বিচারক জেলার বাইরে থাকায় ওই দিন থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু যায়নি। বৃহস্পতিবার তা শুরু হয়েছে। মামলাটি চলছে মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক পার্থপ্রতিম দাসের এজলাসে।
২০১০ সালের ২৭ মে রাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল আপ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। ঝাড়গ্রামের সর্ডিহা এবং খেমাশুলি স্টেশনের মাঝে রেললাইনের একাংশ কেটে ফেলায় এবং লাইনের প্যানড্রোল ক্লিপ খুলে দেওয়ায় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। উল্টো দিক থেকে আসা একটি মালগাড়িও ওই ট্রেনের কয়েকটি বগিকে ধাক্কা মারে। মৃত্যু হয় অন্তত ১৫০ জনের।
জ্ঞানেশ্বরী মামলায় মোট ২৩ জনের নামে চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। ২১ জন গ্রেফতার হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একমাত্র বিমল মাহাতো জামিনে মুক্ত আছেন। ধৃতদের মধ্যে হীরালাল মাহাতো ঘটনার সময় নাবালক ছিলেন। তাঁর বিচার চলছে জুভেনাইল কোর্টে। জেলবন্দি ১৯ জনকেই বৃহস্পতিবার দুপুরে মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করা হয়। এসেছিলেন বিমল মাহাতোও। ওই ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে ঝাড়খণ্ডে বিমলের কাছে চলে যান মনোজ। এই দু’জন পরস্পরের আত্মীয়। মনোজকে ওই গেস্ট হাউসে থাকার ব্যবস্থা করে দেন বিমলই।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.