|
|
|
|
ভাঙচুর পাঠাগারেও |
সিপিএম অফিসে হামলা চলছেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা ও হলদিয়া |
এখনও সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চলছে। মঙ্গলবারের পর ফের বুধবার রাতে পটাশপুর ২ ব্লক এলাকায় সিপিএমের দলীয় কার্যালয়গুলিতে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। হলদিয়াতেও সিপিএমের কার্যালয়ে ভাঙচুর চলে। দিল্লির ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার হলদিয়ার চৈতন্যপুরের রামপুরে পথ অবরোধ করে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন।
বুধবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ পঁচেট গ্রামে সিপিএমের দুটি শাখা কমিটির অফিস ভাঙচুর ও লুঠ করা হয় টিভি, সিলিং ফ্যান, চেয়ার ইত্যাদি। ঘটনার পর সমর্থকদের জমায়েত করে দু’পক্ষই। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় রাতেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। বৃহস্পতিবারও জমায়েত থাকায় এলাকায় উত্তেজনা ছিল। সিপিএমের প্রতাপদিঘি জোনাল কমিটির সম্পাদক কালীপদ দাসমহাপাত্রের অভিযোগ, “রাতে তৃণমূলের সশস্ত্র সমর্থকরা ভাঙচুর ও লুঠপাট চালাচ্ছে। দলের আড়গোয়াল লোকাল কমিটির অফিসে ভাঙচুর চালানোর পরে গ্যাস সিলিন্ডার, সিলিং ফ্যান, চেয়ার টেবিল লুঠ করা হয়। ভাঙচুর করা হয় সাঁউৎখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ছোট উদয়পুর শাখা কমিটি অফিসে। ওই গ্রামেই সমাজবাদী দলের শাখা অফিসে তালা ঝোলানো হয়। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আমরা আন্দোলনে নামব।” |
|
পঁচেটে ভাঙচুরের পরে সিপিএম কার্যালয়। ছবি: কৌশিক মিশ্র। |
পঁচেটের এই ঘটনাকে অবশ্য সিপিএমের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের পঁচেট অঞ্চল সভাপতি তাপস বেরা। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস বলেন, “দলীয় ভাবে মিছিল ও পথসভা ছাড়া কিছু করা হচ্ছে না। তবে মানুষ ক্ষোভে কিছু ছোটখাট ঘটনা ঘটাচ্ছেন।”
এ দিকে, এ দিন রামপুর বিবেকানন্দ মিশন মহাবিদ্যালয়ে থেকে চৈতন্যপুর মোড় পর্যন্ত একটি মিছিল করেন কলেজের টিএমসিপি-র সদস্যরা। মিছিলের পরে সঙ্কীর্ণ চৈতন্যপুর-কুকড়াহাটি শাখা অবরোধও করেন তাঁরা। এক ঘণ্টার এই অবরোধে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। টিএমসিপির মহকুমা সভানেত্রী রিনা বৈদ্য বলেন, “মন্ত্রীর এই অপমান সহ্য করতে না পেরে ছাত্র-ছাত্রীরা অবরোধ করেছেন। মানুষের অসুবিধার জন্য ক্ষমা চাইছি।” সিপিএমের কার্যালয়ে ভাঙচুরও চলছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হলদিয়া পুরসভা সংলগ্ন সিপিএমের লোকাল কমিটির অফিস ভাঙচুর চলেছিল। বুধবার দুর্গাচক এলাকায় তৃণমূলের তিনটি ধিক্কার বের হয়। মিছিল শেষের পরেই রাতে সিপিএমের দুর্গাচকের লোকাল কমিটি ও কুমারচকে ৭ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয় হয় বলে অভিযোগ। সিপিএমের হলদিয়া জোনাল সম্পাদক সুদর্শন মান্না বলেন, “ওই এলাকায় তৃণমূল তিনটি মিছিল বের করেছিল। সেগুলিরই একটি থেকে ভাঙচুর করা হয়েছে।” একটি মিছিলের নেতৃত্বে থাকা তৃণমূল নেতা স্বপন নস্কর অবশ্য বলেন, “আমাদের মিছিল দিনের আলো থাকতেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। কে বা কারা ভাঙচুর করেছে জানি না।” অন্য একটি মিছিলের নেতৃত্বে থাকা মিলন মণ্ডল বলেন, “আমাদের ছেলেরা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করেছে। সিপিএমের কোনও চালু পার্টি অফিস কি রয়েছে?” চৈতন্যপুরেও এ দিন রাতে সিপিএমের সুকান্ত পাঠাগার ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ।
|
পুরনো খবর: সিপিএম অফিসে হামলা ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ |
|
|
|
|
|