টুকরো খবর |
ব্যথা কমলেও রয়েছে শ্বাসকষ্ট
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা এখনও রয়েছে। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে এ কথা জানানো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর আরও কয়েক দিন বিশ্রাম প্রয়োজন। এ দিন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন হাসপাতালে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে আসেন। |
|
মমতার কাছে: মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে বেরিয়ে আসছেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন
এবং লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার। বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র |
হাসপাতাল সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ব্যথা অনেকটাই কমেছে। এখনও কোমরের নীচের অংশ এবং বাঁ হাঁটু খানিকটা ফুলে রয়েছে। এ দিন তাঁকে ব্যথার ওষুধ দেওয়া হয়েছে। ফিজিওথেরাপি করানোর কথাও বলা হয়েছে। হাসপাতালে এ দিন তাঁকে হাল্কা খাবার দেওয়া হয়।
|
পুরনো খবর: শ্বাসকষ্ট, পায়ে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে
|
স্ত্রী-র ভুয়ো প্রোফাইল, ধৃত স্বামী
|
স্ত্রীর নামে ভুয়ো ও অশালীন ফেসবুক প্রোফাইল খোলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার এক যুবককে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা। গোয়েন্দাপ্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ জানান, ধৃত মৌসম চক্রবর্তীর বাড়ি গরফায়। তাঁর প্রোমোটারির ব্যবসা রয়েছে। পুলিশ জানায়, বিবাহিত ওই তরুণীর অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে স্ত্রীর উপর রাগ মেটাতেই এমন ঘটিয়েছেন মৌসম। ওই দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে বলে পুলিশ জানায়। লালবাজার সূত্রে খবর, মাস ছয়েক আগে এক পরিচিতের কাছ থেকে ভুয়ো প্রোফাইলের বিষয়টি জানতে পারেন ওই তরুণী। প্রোফাইলটি খুলে দেখেন, তাতে তাঁর পরিচিতি রয়েছে ডিভোর্সি হিসেবে। অশালীন কথাবার্তাও রয়েছে। এর পরেই সাইবার ক্রাইম থানায় জানান ওই তরুণী। তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে, ওই প্রোফাইল তৈরির আইপি অ্যাড্রেসটি গরফার এক সাইবার ক্যাফে-র। সেখান থেকে কোন সময়ে প্রোফাইলটি বানানো হয়েছে, তা-ও চিহ্নিত করা হয়। এর পরে ওই ক্যাফেতে নেট ব্যবহারকারীদের তথ্য রাখার খাতা থেকে মৌসমের খোঁজ মেলে। এ দিন আদালতে তোলা হলে জামিন পান মৌসম।
|
|
দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের নিগ্রহের প্রতিবাদে
বৃহস্পতিবার কলকাতার রবীন্দ্র সদন এলাকায় অবস্থান সঙ্গীতশিল্পীদের। বাঁ দিক থেকে
দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, নির্মলা মিশ্র এবং ঊষা উত্থুপ। রয়েছেন বনশ্রী
সেনগুপ্ত, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুন্ধতী হোমচৌধুরী প্রমুখও। —নিজস্ব চিত্র |
|
মুন্নার জামিনের আর্জি এ বার দায়রা আদালতে |
পুলিশ আদালতে তিন-তিন বার আবেদন মঞ্জুর হয়নি। তাই এ বার আলিপুর দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন করলেন গার্ডেনরিচে পুলিশকর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও বরো চেয়ারম্যান মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্না। গত ৭ মার্চ ধরা পড়ার পর থেকে তিন বার আলিপুর পুলিশ আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন মুন্না। প্রতি বারেই বিচারক তা খারিজ করে দেন। মুন্নার আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বৃহস্পতিবার আলিপুর দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়েছে।” আজ, শুক্রবার ওই আবেদনের শুনানি হতে পারে। গার্ডেনরিচে হরিমোহন ঘোষ কলেজের ছাত্রভোটের মনোনয়নপত্র তোলাকে কেন্দ্র করে গত ১২ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে তাপস চৌধুরী নামে কলকাতা পুলিশের এক এসআই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত মুন্নার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। তার পর থেকে তিনি ফেরার ছিলেন। ৭ মার্চ বিহারের ডেহরি-অন-শোন স্টেশনে তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। পুলিশি হাজতে রেখে মুন্নাকে জেরা করা হয়। এখন তিনি জেল-হাজতে আছেন।
|
পুরনো খবর: জেলে আদৌ জঙ্গিরা সঙ্গী নয় ইকবালের, দাবি কারাকর্তাদের
|
ছুটির মধ্যেই পচনন্দার মাথায় অনিল কুমার |
গার্ডেনরিচে এসআই-হত্যার পরে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রঞ্জিতকুমার পচনন্দাকে। বদলি করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে, নিরাপত্তা অধিকর্তা হিসেবে। কিন্তু ‘দারোয়ান’-এর চাকরি নিতে অস্বীকার করে ছুটিতে চলে যান তিনি। পরবর্তী কালে তাঁকে ফের এডিজি (সশস্ত্র পুলিশ) হিসেবে বদলি করা হলে ছুটি কাটছাঁট করে ওই পদে যোগ দেন পচনন্দা। কিন্তু সশস্ত্র পুলিশের সর্বোচ্চ পদাধিকারী হিসেবে বেশি দিন কাজ করার সুযোগ দেওয়া হল না তাঁকে। বৃহস্পতিবার এডিজি (ওয়েলফেয়ার) অনিল কুমারের পদোন্নতি ঘটিয়ে পচনন্দার মাথায় বসিয়ে দেওয়া হল সশস্ত্র পুলিশের ডিজি করে। এ দিন তিনি ওই পদে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। পচনন্দা এখন ছুটিতে আছেন। অনিল কুমার ডিজি-পদে যোগ দিয়ে কাজ করেন সশস্ত্র পুলিশের আইজি-র অফিসে বসে।
|
|
মৌন মিছিল শ্যামবাজার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলে সুব্রত বক্সী,
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
|
|
অফিসে আগুন |
|
ডালহৌসি এলাকায় আগুন লেগে ভস্মীভূত অফিস। |
ইন্ডিয়া এক্সচেঞ্জ প্লেসে বেসরকারি একটি সংস্থার দফতরে বৃহস্পতিবার সকালে আগুন লাগে। দমকলের ৪টি ইঞ্জিন আধ ঘণ্টায় আগুন নেভায়। দমকল জানায়, পুরনো একটি বাড়ির চারতলায় ওই অফিসের মেঝে ও সিলিং কাঠের। তাই আগুন পাশের কয়েকটি অফিসে ছড়ায়। তখন অফিসটি বন্ধ ছিল। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পোড়া কম্পিউটার, ফাইলের স্তূপ। দুমড়ে গিয়েছে সিলিং ফ্যান। ওই বাড়ির অন্য এক অফিসের কর্মী জানান, বাড়িটিতে বিপজ্জনক ভাবে বিদ্যুতের তার রয়েছে। অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা কার্যত নেই।
|
চিকিৎসক সেজে গ্রেফতার যুবক |
চিকিৎসক ‘সেজে’ হাসপাতালে ঢোকার অভিযোগে বুধবার এক যুবক গ্রেফতার হল। ধৃত রবিকুমার রাম (২৫) কড়েয়া থানা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, বুধবার ওই যুবক নীলরতন সরকার হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগীদের রক্ত নেওয়ার চেষ্টাও করেন। বিভাগের অন্যান্য কর্মীদের সন্দেহ হলে তাঁরা পুলিশে জানান। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার হন রবি। জেরার মুখে তিনি জানান, বাবার চিকিৎসার জন্য রক্ত সংগ্রহ করতে ডাক্তারের ভুয়ো পরিচয়ে হাসপাতালে ঢুকেছিলেন।
|
ভুয়ো পুলিশ |
পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল ভুয়ো পুলিশ। গোয়েন্দা অফিসার পরিচয় দিয়ে চাকরি এবং বিভিন্ন সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লোকটি বেকারদের কাছ থেকে টাকা নিত বলে অভিযোগ। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে কিছু যুবক পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার পাটুলি থানা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম কৌশিক চক্রবর্তী। তার গাড়িটিকেও আটক করা হয়েছে।
|
ফের মেট্রো-বিভ্রাট |
যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রায় এক ঘণ্টা মেট্রো পরিষেবা বিঘ্নিত হল। পৌনে ৯টা নাগাদ দমদমের আপ প্ল্যাটফর্মের কাছে ‘ওয়াই সাইডিং’-এ পয়েন্ট খারাপ হয়ে যায়। একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে মেট্রো ছাড়তে গিয়ে যাত্রীদের নাকাল হতে হয়। সকাল ১০টার পরে ফের মেট্রো চলাচল স্বাভাবিক হয়।
|
পাসপোর্ট জাল |
ভাই গাড়ি চালান দুবাইয়ে। সেখানে গেলে চাকরি পাওয়া যাবে, এই আশায় টাকা জোগাড় করে দুবাই যাচ্ছিলেন মহম্মদ হাসান নামে উত্তর দিনাজপুরের এক যুবক। ধরা পড়লেন কলকাতা বিমানবন্দরে। পুলিশ জানায়, ওই যুবকের পাসপোর্টটি জাল। হাসান পুলিশকে জানান, তাড়াতাড়ি পাসপোর্ট পেতে তিনি এক দালালকে ধরেছিলেন। সেই জাল পাসপোর্ট দিয়েছে।
|
নিগ্রহে গ্রেফতার |
শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের দুই রিকভারি এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁশদ্রোণীর রবীন্দ্র পল্লিতে। অভিযোগ, ওই দুই এজেন্ট একটি বাড়িতে পাওনা আদায় করতে গিয়ে গৃহকর্ত্রীর শ্লীলতাহানি করেন। বাড়ির অন্যদের মারধর করা হয়। |
|