টিউলিপের টানে পর্যটকের ঢল কাশ্মীরে |
সাবির ইবন ইউসুফ • শ্রীনগর |
ফেব্রুয়ারি মাসে জম্মু-কাশ্মীরে কার্ফু ও সাধারণ ধর্মঘটের জেরে কিছুটা কমে গিয়েছিল পর্যটকদের যাওয়া-আসা। কিন্তু তার পরেই ফের পর্যটকরা পা রেখেছিলেন উপত্যকায়। আর সে কথা মাথায় রেখেই এশিয়ার বৃহত্তম টিউলিপ ফুলের বাগানের দরজা পর্যটকদের জন্য আগেই খুলে দিয়েছিল
রাজ্য সরকার।
৮০ ধরনের টিউলিপ আছে কাশ্মীরের এই বাগানে। সম্প্রতি বাগানটি সংস্কার করা হয়েছে। বাগানের দরজা খোলা তাই কাশ্মীর উপত্যকায় পর্যটনের নতুন মরসুমের সূচনা বলেই ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। আগে ২৯ মার্চ বাগান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পর্যটকদের ঢল দেখে কয়েক দিন আগেই সেই পদক্ষেপ করে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের হিসেব অনুযায়ী, ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৪৫ হাজার পর্যটক এসেছেন টিউলিপ বাগানে। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত টিউলিপের শোভা অপরিবর্তিত থাকবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের। তাই আরও অন্তত ৫০ হাজার পর্যটকের আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান অফিসাররা। |
ফুলচাষ দফতর জানিয়েছে, এ বার ২৪টি নতুন ধরনের টিউলিপ লাগানো হয়েছে। নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানি করা নতুন ধরনের এই টিউলিপগুলি প্রথম কাশ্মীরে লাগানো হল। ১৫ হেক্টরের এই বাগানটির আগে নাম ছিল সিরাজ বাগ। এখন অবশ্য পোশাকি নাম ইন্দিরা গাঁধী স্মৃতি টিউলিপ উদ্যান। প্রকল্পটির পরিকল্পনা করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ। ২০০৮ সালে তিনিই বাগান উদ্বোধন করেছিলেন। সরকারি অফিসারদের মতে, কেবল টিউলিপ বাগানের দৌলতেই কাশ্মীরে পর্যটনের মরসুম কিছু দিন এগিয়ে এসেছে। আর সেই আকর্ষণ কাটাতে না পেরে কাশ্মীরে বেশি দিন থেকেও যাচ্ছেন পর্যটকরা। তাই টিউলিপকে বাদ দিয়ে পর্যটনের কথা ভাবতে রাজি নয় জম্মু-কাশ্মীর। |