সাবির ইবন ইউসুফ • শ্রীনগর |
দুঃস্বপ্নের সময় শেষ। এ বার তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার পালা। কয়েক সপ্তাহ আগেও যেখানে জারি ছিল কার্ফু, সেখানে ফিরেছে পর্যটকদের ভিড়। তাই ফের আশায় বুক বাঁধছেন কাশ্মীরের মানুষজন।
স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্টরা জানাচ্ছেন, প্রতি দিনই ঝাঁকে ঝাঁকে পর্যটক আসছেন। বিমানের টিকিটের চাহিদা এতটাই বেশি যে ভাড়াও এক লাফে কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। জুন মাসের শেষ পর্যন্ত আগাম বুকিং হয়ে রয়েছে নানা হোটেল, হাউসবোটে। তাই গত বছরের চেয়েও বেশি পর্যটক আসবেন এ বার, তেমনটাই আশা করছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষজন।
কাশ্মীর হাউসবোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আধিকারিকেরাও জানালেন, “এপ্রিল পর্যন্ত অধিকাংশ হাউসবোটেরই আগাম বুকিং হয়ে রয়েছে। এই সময়টায় মূলত কলকাতা, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্র থেকেই অধিকাংশ পর্যটক এখানে ঘুরতে আসেন। আর মে মাসের পর থেকে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা থেকেও পর্যটক আসতে শুরু করবে। গত কয়েক বছরে এমন ভিড় এখানে হয়নি।” এই গ্রীষ্মে পর্যটক টানতে কিছুটা কম দামে বুকিংয়ের সুযোগও দিচ্ছেন বলে দাবি করলেন ওই আধিকারিকেরা। গত বছরও পর্যটকদের ভিড় হয়েছিল উপত্যকায়। কিন্তু তা সামাল দেওয়ার মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা বা পরিকাঠামো ছিল অমিল। থাকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বহু পর্যটক স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেও বাধ্য হয়েছিলেন। যাঁরা সেই সুযোগও পাননি, তারা রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছিলেন গাড়ির মধ্যে কিংবা রাস্তায়। তবে এ বার যাতে পর্যটকদের আর ওই সব অসুবিধার মধ্যে পড়তে না হয়, তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানালেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী সাজদ আহমেদ কিচলু। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আমরা একটি নতুন পরিকল্পনা করেছি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তা নিয়ে কথাও হয়েছে। গত বার পর্যটকদের যে সমস্ত অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছিল, এ বার আর সে রকম কিছু হবে না।” মন্ত্রক সূত্রে খবর, এ বার অন্তত ২০ লক্ষ পর্যটক আসবেন বলে আশা। শুধু মাত্র পর্যটকদের সুবিধার দিকে নজর দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না রাজ্য সরকার। পাশাপাশি সারানো হচ্ছে রাস্তাঘাটও। জোরদার করা হচ্ছে হোটেল, হাউসবোটগুলোতে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও। ছন্দে ফিরছে কাশ্মীর। যাতে কোনও ভাবে ছন্দপতন না ঘটে, তার ব্যবস্থাও করতে বদ্ধপরিকর সরকার। |