ভাড়ার ঠিকঠিকানা নেই। পুরসভার তরফে যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল সেটা উধাও হয়েছে। ভাড়া নিয়ে তাই রিকশা চালকের সঙ্গে যাত্রীদের বিবাদ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসলামপুর শহরে।
বেড়ে চলা ওই সমস্যার জন্য বাসিন্দারা পুরসভাকে দায়ী করছেন। অভিযোগ উঠেছে, ভোগান্তির কথা পুর কর্তারা জানেন। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল অগ্রবাল বলেন, “ভাড়া ঠিক করতে রিকশা চালকদের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসব। পাশাপাশি শহরে অটো পরিষেবা চালু করার অনুমতি চেয়ে রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতরের কাছে আবেদন করা হয়েছে।”
শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার তরফে ২০১১ সালে রিকশা ভাড়ার যে তালিকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেওয়া হয় সেটা চালকদের কেউ মানেনি। এখন ওই ভাড়ার তালিকাও দেখা যায় না। রিকশায় উঠতে ১০টা থেকে ২০ টাকা ভাড়া দাবি করা হচ্ছে। এক কিলোমিটার যেতে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।। ওই কারণে যাত্রীদের সঙ্গে চালকদের বিবাদ লেগে থাকে। যদিও রিকশা চালকদের দাবি, পুরসভার তরফে যে ভাড়ার তালিকা তৈরি করা হয়েছে সেটা ঠিক নয়। দ্রব্যমূল্য যে হারে বেড়েছে ভাড়া না বাড়িয়ে উপায় নেই। প্রতিদিন পুর এলাকার বাইরের প্রচুর রিকশা শহরে ঢোকায় ভাড়া পেতে সমস্যা হচ্ছে।
যদিও পুরকর্তাদের দাবি, প্রতিটি রিকশার জন্য রেজিস্ট্রশন নম্বর দেওয়া আছে। বাইরের রিকশা শহরে ঢুকলে সহজে ধরা পড়বে। বাসিন্দাদের প্রশ্ন, তবে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? পুরসকর্তাদের সাফাই কর্মীর অভাবে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অর্পিতা দত্ত বলেন, “কর্মীর অভাব তো আছেই। এ ছাড়াও গরিব রিকশা চালকদের কথা ভেবে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না। ভাড়া ঠিক করতে রিকশা চালক সহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বাসিন্দারা অবশ্য পুর কর্তার ওই বক্তব্যে আশ্বস্ত হতে পারছেন না। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর একই কথা শুনতে হচ্ছে। কাজ কিছু হচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় সরকারি কর্মী সুমন দাস বলেন, “পুরসভার উচিত দ্রুত রিকশা চালকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ভাড়া ঠিক করা। তা হলে এই এলাকার বাসিন্দার ভোগান্তি অনেক কমবে।” সঠিক ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কিনা সেটা দেখার জন্য বাসিন্দাদের অনেকে পুরসভার মাধ্যমে সেচ্ছাসেবী নিয়োগ করার কথাও বলছেন। তাঁদের কথায়, “বাইরের রিকশা শহরে ঢুকছে কিনা স্বেচ্ছাসেবীরা দেখবে।” |