জিবি হাসপাতালে সংঘর্ষ-কাণ্ডের জেরে আইএমএ-র রাজ্য শাখা, এটিজিডিএ-সহ বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনের ডাকে ত্রিপুরার বহু চিকিৎসক গত কয়েক দিন প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করে দিয়েছেন। ঝাঁপ বন্ধ রাজ্যের বহু প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিরও। ফলে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু রোগী। প্রতি দিনই নতুন করে সমস্যায় পড়ছেন মানুষ।
অচলাবস্থা অবসানে রাজ্য সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলেও, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্দেশে চিকিৎসক সংগঠনগুলির প্রতি আজ আবেদন জানিয়েছে সরকার। চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস পুনরায় চালু করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ত্রিপুরার স্বাস্থ্যমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, ‘‘যাঁরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন, তাঁদের আজ সন্ধ্যা থেকেই প্র্যাকটিস শুরু করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।’’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিবি-কাণ্ড পরবর্তী সমস্ত ঘটনায় রাজ্য সরকার লক্ষ্য রাখছে।’’ বর্তমানে জিবি হাসপাতালের পরিবর্তে রোগীরা অন্য সরকারি হাসপাতালে ভিড় করছেন। চাপ বাড়ছে সে সব হাসপাতালে। অভিযোগ উঠেছে, জিবি-কাণ্ডের পর জিবি হাসপাতালের বহিবির্ভাগে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে রোগীরা অসুবিধায় পড়ছেন। বাধ্য হয়ে অন্য হাসপাতালে চলে যাচ্ছেন। এই অভিযোগ অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী অস্বীকার করেছেন।
এ দিকে, আজ জিবি-কাণ্ডে সাংবাদিক নিগ্রহের তীব্র নিন্দা করে সাংবাদিক ও অসাংবাদিক কর্মীরা আগরতলায় একটি ধিক্কার মিছিল বের করেন।
দোষীদের শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্ত চিত্র-সাংবাদিকদের ক্ষতিপূরণ এবং সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে মৌন মিছিলটি আগরতলা প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে শহর পরিক্রমা করে আবার প্রেস ক্লাবে ফিরে আসে। রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি ছাড়াও মিছিলে ছিলেন সংবাদপত্র বিক্রেতাদের একাংশ। |