স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু, খুশির হাওয়া কুপিলায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমকল |
দীর্ঘ প্রতীক্ষার শেষে সোমবার খুললো ডোমকলের কুপিলা উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। বছর ছয়েক আগে ডোমকলের কুপিলায় গড়ে ওঠে এই উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। বছর দুয়েক ঠিক মত চললেও ২০১০ সালের অগস্টে জমির মালিক তার প্রতিবন্ধী মেয়ের চাকরির দাবিতে তালা ঝুলিয়ে দেন এই কেন্দ্রে। জমিদাতা হাসান মণ্ডলের দাবি ছিল, তার মেয়েকে চাকরি না দিলে তিনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তালা খুলবেন না। ফলে বাধ্য হয়ে ভাড়া করা বাড়িতে চলছিল স্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেয়ের চাকরির প্রতিশ্রুতি পাওয়ায় অবশেষে তিন বছর বন্ধ থাকার পর খুললো ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
দীর্ঘদিন স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। সোমবার দুপুরে ডোমকলের বিডিও রবীন্দ্রনাথ মিশ্র, বিধায়ক আনিসুর রহমান ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি খুলে দেওয়া হয়। বিডিও রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “আলোচনার পর আমরা জমিদাতাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। তবে প্রতিবন্ধী মেয়ের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি।” গ্রামের বাসিন্দা বাসির আহমেদ বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছিলাম। আবার আশার আলো দেখছি।” ডোমকলের মহকুমা শাসক প্রশান্ত অধিকারী জানান, ইন্দিরা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরী ও জমিদাতার প্রতিবন্ধী মেয়েকে প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। জমিদাতা হাসান মণ্ডলের বক্তব্য, প্রশাসন এতদিন আমার কোনও কথায় কান দেয়নি। তারা প্রথম সাহায্যের হাত বাড়ানোয় আমার সিদ্ধান্ত বদল করলাম। ডোমকলের বিএমওএইচ শুভরঞ্জন চন্দ জানান, ওই উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ শুরু হয়েছে। জমিদাতার প্রতিবন্দী মেয়েকে অস্থায়ী কাজ দেওয়ার ব্যপারে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়েছি।
|
বন্ধ্যাকরণের পর মৃত্যু, গাফিলতির অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
বন্ধ্যাকরণের অস্ত্রোপচারের পরে এক মহিলার মৃত্যু হল রায়গঞ্জে। পরিবারের অভিযোগ, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে শেফালি বর্মণ (২৫) নামে ওই মহিলার। হাসপাতালের সুপার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, কী কারণে শেফালিদেবীর মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রায়গঞ্জ থানার আইসি দীনেশ প্রামাণিক জানান, শেফালিদেবীর স্বামী গোপাল বর্মন রায়গঞ্জ থানায় চিকিৎসক শ্যামশ্রী চাকির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানান, “ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছ থেকে রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্লক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মঙ্গলবার ৪২ জনের অস্ত্রোপচার করে বন্ধ্যাকরণ করা হয়েছিল, কিন্তু অন্য কেউ অসুস্থ হননি। শ্যামশ্রীদেবী বলেন, “শেফালিদেবীকে পরিবারের লোকজন জোর করে নিয়ে যান। বাড়িতেই কোনও অনিয়ম হওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।” অস্ত্রোপচারের পরে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত তরল খাবার দেওয়া হয়। ওই সময় পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হয়। গোপালবাবুর অভিযোগ, শ্যামশ্রীদেবীই তাঁর স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। বুধবার ভোরে শেফালিদেবীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্ত্রীকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর দাবি, “চিকিৎসক ছুটি না দিলে আমার স্ত্রীকে মরতে হত না। আমাদের সন্দেহ ঠিক ভাবে অস্ত্রোপচার করা হয়নি।” |