প্রায়ই বন্ধ থাকায় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে বেশ কিছু চিকিত্সা পরিষেবা নিয়মিত মিলছে না বাসিন্দাদের। বুধবারও চোখ, অস্থি চিকিত্সার বহির্বিভাগ বন্ধ ছিল। রোগীদের অনেককেই তাই চিকিত্সা করাতে গিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে শল্য, অস্থি বিভাগ, চোখ, চর্ম, যক্ষার চিকিত্সায় বহির্বিভাগে চিকিত্সক অনিয়মিত হয়ে পড়ায় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। চিকিত্সা করাতে এসে এ দিনও চোখ, অস্থি বিভাগ বন্ধ থাকায় সমরনগরের বাসিন্দা অমর ঘোষ, আশিঘর এলাকার ননীবালা পালদের মতো রোগীকে ফিরে যেতে হয়েছে। সমস্যা মেটাতে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক উদ্যোগী হবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে কাজের কাজ না হওয়ায় সমস্যা রয়েই গিয়েছে।
হাসপাতালের সুপার সঞ্জীব মজুমদার বলেন, “চোখের দুই জন চিকিত্সকের মধ্যে ১ জন অসুস্থ থাকায় সমস্যা হচ্ছে। অস্থি বিভাগেও ২ জন চিকিত্সক। তাই সপ্তাহে ৬ দিন ওই বিভাগগুলি খুলে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।”
মাঝেমধ্যেই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের চিকিত্সা পরিষেবার এই পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন টাউন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সমস্যা মেটাতে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাঁরা আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছেন। হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশেরই অভিযোগ, হাসপাতালে স্থায়ী সুপার নেই। চিকিত্সকদের অনেকেই দীর্ঘদিন ছুটিতে থাকছেন। তাতেই সমস্যা বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে চর্ম রোগের চিকিত্সা, চোখের মতো বিভাগ একজন, দুই জন চিকিত্সকের উপর নির্ভর করে চলছে। তাদের কেউ ছুটি নিলে ওই বিভাগের চিকিত্সা পরিষেবা বন্ধ থাকছে। সমস্যা মেটাতে কর্তৃপক্ষ সদর্থক কিছু করছেন না কেন তা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারাও। শিলিগুড়ি টাউন কংগ্রেস-২ এর সভাপতি বিমলেশ মৌলিক বলেন, “শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে বিভিন্ন চিকিত্সা পরিষেবা নিয়ে বাসিন্দারা অভিযোগ তুলেছেন। এই হাসপাতালের উপর অনেক বাসিন্দাই নির্ভরশীল। সকলের চিকিত্সকদের চেম্বারে গিয়ে মোটা টাকা ভিজিট দিয়ে দেখান সম্ভব নয়। হাসপাতালের বহির্বিভাগে যাতে নিয়মিত বিভিন্ন রোগের চিকিত্সা পরিষেবা মেলে কর্তৃপক্ষকে তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় বাসিন্দাদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।” |