জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি
অবস্থান-বিক্ষোভ কলেজে
লেজে শিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়ন করার দাবিতে বুধবার কলেজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র ও ছাত্রীরা। বুধবার সকাল থেকেই কলেজের প্রশাসনিক ভবনের গেটে অবস্থান শুরু করে তারা। অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী কাউকেই কলেজের প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাধা পেয়ে এদিন দিনভর কলেজের ভিতরে গাছতলায় বসে ছিলেন অধ্যক্ষ-সহ অনান্য শিক্ষকরা। গত সোমবার থেকেই কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিতে আন্দোলন করছেন ছাত্রছাত্রীরা। চলছে ক্লাস বয়কটও। দু দিন বিক্ষোভ চললেও কোনও সদর্থক সাড়া না পেয়ে এ দিন থেকে কলেজের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্র সংসদ। নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না মেলা পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে জানানো হয়। ছাত্র সংসদ সূত্রে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নির্দিষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়া হলে তাদের অবরোধ আন্দোলন চলবে। এদিন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ হওয়ায় পরীক্ষার ফর্ম ফিল আপও হয়নি।
জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, কলেজের শিক্ষক পদে ৫৪ শতাংশই খালি পড়ে রয়েছে। শিক্ষকের অভাবে মেকানিক্যাল, সিভিল, কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রনিক্স-সহ বেশ কিছু বিভাগে পঠনপাঠন বিপর্যস্ত। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেকানিক্যাল বিভাগে ২১ জন শিক্ষক পদ থাকলেও রয়েছেন মাত্র ৮ জন। সিভিল বিভাগে ২৩ জনের জায়গায় রয়েছেন মাত্র ৬ জন শিক্ষক। কলেজে শিক্ষাকর্মী পদে লোক কম থাকা নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছে ছাত্র সংসদ। গবেষণাগারে কর্মী না-থাকায় ইলেকট্রনিক্স বিভাগে ছয় মাস ধরে গবেষণাগার বন্ধ।
পড়ুয়াদের অভিযোগের বিষয়গুলি স্বীকার করে নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের অধ্যক্ষ জ্যোতির্ময় ঝম্পটি বলেন, “শিক্ষকের সমস্যা রয়েইছে। বিষয়টি উচ্চশিক্ষা বিভাগের নজরে এনেছি। গবেষণাগারের সহায়কের কথাও জানিয়েছি। এদিন ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভে কলেজের অচলাবস্থার কথাও জানানো হয়েছে। এই মূল দুটি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা দফতর নিশ্চয়ই পদক্ষেপ করবেন। বাকি বিষয়গুলি স্থানীয় ভাবেই সমাধান করা সম্ভব।”
কলেজের গ্রন্থাগারে নতুন বই না-থাকা, গবেষণাগারে বহু যন্ত্র-সরঞ্জাম অকেজো হয়ে পড়ে থাকা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। ছাত্র সংসদের অভিযোগ, শিক্ষকের অভাবে চলতি শিক্ষাবর্ষে সিভিল এবং মেকানিক্যাল বিভাগের পাঠক্রম শেষ করা য়ায়নি। প্লেসমেন্ট বিভাগ না-থাকার অভিযোগও তুলেছেন পড়ুয়ারা। কলেজের অরাজনৈতিক ছাত্র সংসদের সম্পাদক ময়ূখ ভট্টাচার্য বলেন, “শিক্ষার পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। শিক্ষক নেই, গবেষণাগারে যন্ত্র সামগ্রী নেই, কর্মী নেই, এমনকী গ্রন্থাগারেও মান্ধাতার আমলের বই রয়েছে। নতুন বই ছাত্র ছাত্রীরা না পেলে পিছিয়ে পড়তে হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.