নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, কলেজের শিক্ষক পদে ৫৪ শতাংশই খালি পড়ে রয়েছে। শিক্ষকের অভাবে মেকানিক্যাল, সিভিল, কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রনিক্স-সহ বেশ কিছু বিভাগে পঠনপাঠন বিপর্যস্ত। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেকানিক্যাল বিভাগে ২১ জন শিক্ষক পদ থাকলেও রয়েছেন মাত্র ৮ জন। সিভিল বিভাগে ২৩ জনের জায়গায় রয়েছেন মাত্র ৬ জন শিক্ষক। কলেজে শিক্ষাকর্মী পদে লোক কম থাকা নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছে ছাত্র সংসদ। গবেষণাগারে কর্মী না-থাকায় ইলেকট্রনিক্স বিভাগে ছয় মাস ধরে গবেষণাগার বন্ধ।
পড়ুয়াদের অভিযোগের বিষয়গুলি স্বীকার করে নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের অধ্যক্ষ জ্যোতির্ময় ঝম্পটি বলেন, “শিক্ষকের সমস্যা রয়েইছে। বিষয়টি উচ্চশিক্ষা বিভাগের নজরে এনেছি। গবেষণাগারের সহায়কের কথাও জানিয়েছি। এদিন ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভে কলেজের অচলাবস্থার কথাও জানানো হয়েছে। এই মূল দুটি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা দফতর নিশ্চয়ই পদক্ষেপ করবেন। বাকি বিষয়গুলি স্থানীয় ভাবেই সমাধান করা সম্ভব।”
কলেজের গ্রন্থাগারে নতুন বই না-থাকা, গবেষণাগারে বহু যন্ত্র-সরঞ্জাম অকেজো হয়ে পড়ে থাকা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। ছাত্র সংসদের অভিযোগ, শিক্ষকের অভাবে চলতি শিক্ষাবর্ষে সিভিল এবং মেকানিক্যাল বিভাগের পাঠক্রম শেষ করা য়ায়নি। প্লেসমেন্ট বিভাগ না-থাকার অভিযোগও তুলেছেন পড়ুয়ারা। কলেজের অরাজনৈতিক ছাত্র সংসদের সম্পাদক ময়ূখ ভট্টাচার্য বলেন, “শিক্ষার পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। শিক্ষক নেই, গবেষণাগারে যন্ত্র সামগ্রী নেই, কর্মী নেই, এমনকী গ্রন্থাগারেও মান্ধাতার আমলের বই রয়েছে। নতুন বই ছাত্র ছাত্রীরা না পেলে পিছিয়ে পড়তে হবে।” |