১০০ দিনের প্রকল্পে রাস্তা সংস্কারের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল সিপিএম পরিচালিত একটি পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। সুপুর পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে স্থানীয় নিত্যানন্দনপুর গ্রামের কিছু বাসিন্দা গত বুধবার খাতড়ার বিডিও-র কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। পঞ্চায়েত প্রধান সূর্যনারায়ণ কিস্কু অবশ্য অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। খাতড়ার বিডিও মৈত্রী চক্রবর্তী অভিযোগ তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাধামোহনপুর গ্রাম সংসদের নিত্যানন্দনপুর মেনরোড থেকে রায়পাড়া পর্যন্ত মোরাম রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। ১০০ দিনের প্রকল্পে এই কাজ করছে সুপুর পঞ্চায়েত। এ জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। গত ২৯ মার্চ ওই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে তাঁদের অন্ধকারে রেখে প্রায় চুপিসাড়ে দায়সারা ভাবে ওই রাস্তা সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। গ্রামবাসী রামকৃষ্ণ বাউরি, রাধাপদ বাউরি, আনন্দ বাউরিদের অভিযোগ, “গ্রাম উন্নয়ণ কমিটিকে না জানিয়ে বিনা ‘টেন্ডারে’ এই কাজ করাচ্ছেন পঞ্চায়েত প্রধান। এই কাজে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে। পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েও লাভ হয়নি। তাই বিডিও-র কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
গ্রামবাসীদের ওই অভিযোগ সমর্থন করেছেন রাধামোহনপুর গ্রাম উন্নয়ণ কমিটির সচিব তথা সিপিএমের অজিত বাউরিও। তাঁর দাবি, “ওই রাস্তায় মোরাম ফেলে যে সংস্কার করা হবে, তা আমাকে জানাননি প্রধান। কাজ ঠিক মতো হচ্ছে না।” সুপুর পঞ্চায়েতের প্রধানের দাবি, “সরকারি নিয়ম মেনে ওই কাজের টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। কাজও চলছে। তারই মাঝে এলাকার কিছু লোক মিথ্যা অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত করছেন। দুর্নীতির অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।” খাতড়ার বিডিও বলেন, “রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত করে দেখা হবে।” |