মোরামের বদলে মাটি ফেলে রাস্তা সংস্কারের অভিযোগ উঠেছে পাড়া ব্লকের নডিহা-সুরুলিয়া পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। কালভার্ট নির্মাণেও নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। ১০০ দিনের প্রকল্পের ওই কাজে দুর্নীতি হয়েছে বলে সম্প্রতি বিডিও-র কাছে অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। সেই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে প্রশাসন।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নডিহা-সুরুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিনের প্রকল্পে কয়েকটি মোরামের রাস্তা তৈরির কাজ হচ্ছে। রাস্তাগুলি হল: সুরুলিয়া থেকে রঁদাবাড়ি, পাড়া বিট অফিস থেকে খুদিয়াট্যাঁড়, ফতেপুর জলাধার থেকে ফতেপুর গ্রাম, ফতেপুর গ্রাম থেকে চালুনিয়া প্রভৃতি। কিন্তু মোরামের বদলে রাস্তায় মাটি ফেলা হচ্ছে বলে বাসিন্দারা প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে গণস্বাক্ষরি করে অভিযোগ জানান। ফতেপুর গ্রামের নন্দলাল রাজোয়াড়, হাতিমারা গ্রামের বিধান মাহাতো, সুরুলিয়ার পঞ্চানন মুখোপাধ্যায়দের অভিযোগ, “স্থানীয় গম্ভীরগড়া ও বাগানবাড়ি গ্রামে পুকুর সংস্কার করে পড়ে থাকা মাটি ট্রাক্টরে তুলে এনে ওই রাস্তাগুলিতে ফেলা হচ্ছে। অথচ পঞ্চায়েত দেখাচ্ছে শ্রমিকদের দিয়ে অন্যত্র মাটি কাটানো হয়েছে।” তাঁদের আর দাবি, “তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করে জানা গিয়েছে, রাস্তায় মাটি ফেলা নিয়ে দুর্নীতি করা হয়েছে। মোরামের বদলে মাটি ব্যবহার করেও পঞ্চায়েত বিধিভঙ্গ করেছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
এ ছাড়া ওই পঞ্চায়েতের অন্য নির্মাণ কাজ নিয়েও বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, বাগানবাড়ি গ্রামে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র ও নডিহার কাছে কালভার্ট নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। ওই কাজগুলিও ১০০ দিনের প্রকল্পে করা হয়েছে। তবে অভিযোগ সর্ম্পকে মন্তব্য করতে চাননি ওই পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক কৈলাশ মাহাতো।
প্রশাসন সূত্রের খবর, রাস্তা আরও শক্ত করতে হলে মাটি ফেলা যেতে পারে, তবে তার আগে এ ব্যাপারে গ্রাম উন্নয়ণ সমিতির অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু মোরামের বদলে কখনই মাটি ব্যবহার করা যায় না। অন্য জায়গা থেকে মোরাম আনাতে গেলে টেন্ডার ডাকাও নিয়ম। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে? পাড়ার বিডিও তমোঘ্ন কর বলেন, “নডিহা-সুরুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিনের কাজ নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরেই যুগ্ম বিডিওকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছি। আমরা সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখছি।” বিডিও জানান, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়ার পরেই সেই সামগ্রী বদলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। |