বঞ্চনা সঙ্গী করেই দীনবন্ধু স্মরণ |
নীলদর্পনের স্রষ্টাকে স্মরণ করল গোপালনগর। গোপালনগরের চৌবেড়িয়া গ্রামে ১৮২৯ সালের ১০ এপ্রিল জন্ম হয়েছিল দীনবন্ধু মিত্রের। নতুন সরকার মনিষীদের সম্মান দেওয়ার উদ্যোগ নিলেও এখনও আড়ালেই রয়ে গিয়েছেন দীনবন্ধু। তবে, সাদামাটাভাবে হলেও এবছর পালিত হল তাঁর জন্মদিন। বুধবার বাড়ির সামনে থাকা আবক্ষ মূর্তিতে প্রথমে মাল্যদান করেন দীনবন্ধুবাবুর পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম। পরে আসেন বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস, বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অলোক নন্দী, স্থানীয় চৌবেড়িয়া-১ পঞ্চায়েতের প্রধান গিয়াসউদ্দিন মোল্লা সহ এলাকার শিক্ষিক শিক্ষিকা ও স্কুল পড়ুয়ারা। স্থানীয় চৌবেড়িয়া দীনবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ে থাকা মূর্তিতেও মালা দেওয়া হয়। বের হয় শোভাযাত্রা। স্থানীয় পঞ্চায়েত দফতরের সামনের মাঠে হয় দীনবন্ধু মিত্রের উপর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান হলেও দীনবন্ধুবাবুর ঐতিহ্যমণ্ডিত বাড়ির ভগ্নদশা অবশ্য একই রয়ে গিয়েছে। দীনবন্ধুবাবুর বংশধরেরা জানালেন, বাড়ি সংস্কারের আর্থিক ক্ষমতা তাঁদের নেই। তাঁদের দাবি, এর আগে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে বাড়িটি সংস্কারের দাবি জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকার বাড়িটি হেরিটেজ ঘোষণা করলেও জমি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে এখনও সংস্কারের কাজ শুরু করা যায়নি।
আপাতত শুধু আশ্বাসই ভরসা।
|
সিপিএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য-সহ পরপর তিনটি বাড়িতে চড়াও হয়ে তাণ্ডব চালালো দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে গোপালনগরের চৌবেড়িয়া এলাকায়। লুঠ করা হয় অলঙ্কার ও নগদ টাকা। আহত হয়েছেন চারজন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “বনগাঁর এসডিপিওকে ঘটনাক তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে একাধিক দুষ্কৃতীদল থাকতে পারে।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা দিয়েছে, মঙ্গলবার রাত একটা নাগাদ দুষ্কৃতীরা প্রথমে আকবর মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর হামলা চলে সিপিএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য আজিজুল রহমান মোল্লার বাড়িতে। গ্রিলের তালা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে আজিজুল ও তাঁর স্ত্রী তসলিমাকে মারধর করা হয়। তাঁদের কোপানো হয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে। আজিজুলদের চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর রাত ৩টে নাগাদ স্থানীয় মেঠোপাড়ার বাসিন্দা দীপক পান্ডের বাড়িতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরাা। পেশায় ঠিকাশ্রমিক দীপকবাবু এখন কর্মসূত্রে দিল্লিতে। দুষ্কৃতীরা দীপকবাবুর স্ত্রী শোভাদেবী ও মেয়ে পরবীর উপর হামলা চালায়। লুঠ করে সোনার গহনা। বাড়িতে ছিল দীপকবাবুর অসুস্থ ছেলে নিতিন। তাকে অবশ্য মারধর করেনি তারা।
|
পুকুরের ঘাটে হাত ধুতে গিয়ে তলিয়ে গেল এক শিশু। তাকে টেনে তুলতে গিয়ে তলিয়ে গেল আরও একটি শিশু। দুর্ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে পাথরপ্রতিমার রামগঙ্গা গ্রামে। পরে তাদের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। |