প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে চাকরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনায়। অভিযোগ, সম্প্রতি পর্ষদে করণিক, টাইপিষ্ট-সহ মোট ২০টি পদে নিয়োগের পরীক্ষায় অনেক প্রার্থীকে ডাকা হয়নি। শুধু তাই নয়, তোয়াক্কা করা হয়নি নিয়োগ সংক্রান্ত বিধিরও। একই পরীক্ষার জন্য দু’রকম রঙের অ্যাডমিট কার্ড বিলি করায় পক্ষপাতের অভিযোগও উঠেছে। পর্ষদ চেয়ারম্যান সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।
পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পদে পরীক্ষার জন্য ২০১১ সালের ১ মার্চ প্রথম বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেই সময়ে মোট ১৪৩৬ জন আবেদন করেন। এ ছাড়াও ওই পদে পরীক্ষার জন্য কর্ম বিনিময় কেন্দ্র থেকে ১৯৯ জনের তালিকা পাঠানো হয়। কিন্তু সেই পরীক্ষা তখন হয়নি। রাজ্যে পালাবদলের পরে ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ফের ওই পদগুলিতে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এরপরে ৯ মার্চ ১৬৪২ জন পরীক্ষা দেন। অভিযোগ, ওই সময় কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্রের পুরনো প্রার্থীদের পরীক্ষায় ডাকা হয়নি। পরীক্ষার কথা জানতে না পারায় পূর্বে আবেদনকারী ১৪৩৬ জনের মধ্যে মাত্র একশো জনের মতো প্রার্থী পরীক্ষায় বসেন। |
জেলা পর্ষদের সদস্য কুতুবউদ্দিন আহমেদের অভিযোগ, “নতুন পরীক্ষার ব্যাপারে পর্ষদে কোনও বৈঠক হয়নি। আগে ব্যাঙ্কে টাকা জমা করার পরে আবেদন নেওয়া হলেও নতুন পরীক্ষার ক্ষেত্রে টাকা নিয়ে হাতে-হাতে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। নতুন পরীক্ষার্থীদের সাদা ও পুরনো পরীক্ষার্থীদের হলুদ রঙের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। আইন সহকারির মতো পদ নতুন সৃষ্টি করা হয়েছে। এ গুলির সমস্তটাই বেআইনি।” দুর্নীতির অভিযোগ অবশ্য মাননে চাননি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মীনা ঘোষ। তিনি বলেন, “এ সব মিথ্যা অভিযোগ। বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হয়েছিল, যাঁরা আগে আবেদন করেছেন তাঁরা যে কোনও নথি নিয়ে এলেই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে। কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্রের মাধ্যমে যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের স্পিড পোষ্টে চিঠিও পাঠানো হয়। আর একটি রঙেরই অ্যাডমিট কার্ড হয়েছে।” |