|
|
|
|
বরাদ্দই সার |
কিষান মান্ডির কাজ শুরুই হয়নি |
বরুণ দে • মেদিনীপুর |
কৃষকেরা যাতে ফসলের ন্যায্য মূল্য পান, সে জন্য জেলার সমস্ত ব্লকেই কিষাণ মান্ডি তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো জেলার ১০টি ব্লকে কিষান মান্ডির জন্য অর্থ বরাদ্দও হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একটি প্রকল্পের কাজও শুরু হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আদপে ওই কাজ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে কৃষকদের মধ্যে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ঠিকাদার সংস্থা আগ্রহ না-দেখানোয় কয়েকটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে নতুন করে দরপত্র ডাকতে হয়। তাই কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। কৃষি বিপণন দফতরের জেলা আধিকারিক ব্রজেন সরকার বলেন, “কয়েকটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরুর চেষ্টা চলছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ধান, আলু, পাট ছাড়াও নানা ধরনের সব্জি চাষ হয়। জেলার বেশিরভাগ মানুষ কৃষির উপর নিভর্রশীল। তবে চাষবাসে সমস্যা লেগেই রয়েছে। কখনও বন্যায় ফসলের ক্ষতি হয়। বিস্তীর্ণ এলাকার চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। কখনও দলমা থেকে আসা হাতির দল ফসলের ক্ষতি করে। কৃষকেরা ফসলের ন্যায্য মূল্য পান না বলেও অভিযোগ। কিষান মান্ডি হলে, এক দিকে যেমন ফসল মজুত করে রাখা যাবে, অন্য দিকে, তা বিক্রিও করা যাবে। কৃষকদের বক্তব্য, জেলার বিভিন্ন ব্লকে ফসল মজুত করে রাখার পরিকাঠামো নেই। এই পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সরকারের এই পরিকল্পনা কার্যকর হয়, ততই ভাল।
কিন্তু কাজ আর হচ্ছে কই। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো প্রথমে পশ্চিম মেদিনীপুরের ২৯টি ব্লকেই কিষাণ মান্ডি তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। সেই মতো জমি দেখার কাজ শুরু হলেও মাত্র ১০টি প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয় প্রথম পর্যায়ে। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে গড়বেতা, বিনপুর-২, পিংলা, কেশপুর, নারায়ণগড়, সবং, কেশিয়াড়ি, চন্দ্রকোনা, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরে কিষাণ মান্ডি তৈরি হবে। শুরুতে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকে জমি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারপর রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, গড়বেতার ক্ষেত্রে কিষাণ মান্ডির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৫ কোটি ৮৭ লক্ষ ৪১ হাজার, বিনপুর-২ ব্লকে ৫ কোটি ৪৭ লক্ষ ৯৫ হাজার, কেশিয়াড়ির ক্ষেত্রে ৫ কোটি ৮২ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা। গত ১ এপ্রিলই কয়েকটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে নতুন করে দরপত্র ডাকা হয়। কৃষি বিপণন দফতরের জেলা আধিকারিকের অবশ্য আশ্বাস, “সংশয়ের কিছু নেই। সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।” |
|
|
|
|
|