|
|
|
|
স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে ধৃত স্বামী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
দুটি পৃথক ঘটনায় জামবনি ও বিনপুরে মৃত্যু হল দুই গৃহবধূর। দু’জনেরই স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে জামবনি থানার দুবড়া অঞ্চলের জরকাশোল গ্রামে স্ত্রীকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃতের নাম ঝাঁপি মুর্মু (২৭)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, তিন সন্তানের মা ঝাঁপি ও তাঁর স্বামী রাজু মুর্মুর মধ্যে প্রায়ই বচসা হত। মঙ্গলবার রাতে বচসা চলাকালীন আচমকা ঝাঁপির মাথায় শাবলের বাড়ি মারেন রাজু। ঘটনাস্থলেই ঝাঁপির মৃত্যু হয়। এরপরই শাবল দিয়ে নিজের মাথায় ক্রমাগত আঘাত করেন রাজু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়শিরা তাঁকে চিল্কিগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। খবর পেয়ে রাতেই জামবনি থানার পুলিশ জরকাশোল গ্রামে গিয়ে ঝাঁপির দেহ উদ্ধার করে। রাজুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রাজুর আঘাত গুরুতর হওয়ায় মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশ। ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে পুলিশি প্রহরায় রাজু চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার রাজুকে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কোথা দিয়ে কী যে হয়ে গেল, আমি কিচ্ছু ভাবতে পারছি না।” পুলিশ জানিয়েছে, রাজু সুস্থ হলে তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে।
অন্য দিকে, বচসার জেরে স্ত্রীকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে খুন করায় অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত বছর আটচল্লিশের রামরতন সরেনের বাড়ি বিনপুর থানার আঁধারিয়া অঞ্চলের শিবপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার গভীর রাতে শিবপুর গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী সোমবারি সরেন (৩৫)-এর সঙ্গে ঝগড়া হয় রামরতনের। তারপর রামরতন কোদাল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই সোমবারির মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে শিবপুর গ্রাম থেকেই রামরতনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার রামরতনকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে চোদ্দ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ হয়। |
|
|
|
|
|