|
|
|
|
লাইসেন্স-জট কাটতে চলেছে বিশ্বজিৎদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অবশেষে আক্ষেপ মিটতে চলেছে বিশ্বজিৎদের। সব কিছু ঠিকঠাক চললে তাঁরা এএফসি ‘এ’ লাইসেন্স কোর্স করতে পারবেন এই শহরে বসেই। আগামী দু’তিন মাসের মধ্যেই।
বুধবার আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, “আগামী জুন কিংবা জুলাই মাসে কলকাতাতেই হবে এএফসি ‘এ’ লাইসেন্সের কোর্স। ফুটবলারদের আগ্রহ দেখে আইএফএ-র তরফে এ ব্যাপারে আবেদন করা হয়েছিল ফেডারেশনে। তাঁদের দিক থেকে সাড়া পাওয়া গিয়েছে।”
ফেডারেশন সচিব কুশল দাসও দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, “এ বছর এক বারই এই কোর্স করানোর কথা ছিল। কিন্তু প্রার্থীদের আগ্রহ দেখে আগামী জুন কিংবা জুলাইতে কলকাতাতেই ‘এ’ লাইসেন্স করানোর পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। আশা করছি এএফসি-র সবুজ সঙ্কেতও পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে টিডি রব বানের সঙ্গে একপ্রস্ত কথা হয়েছে এএফসির।”
গত মঙ্গলবারই আনন্দবাজারে প্রকাশিত হয়েছিল, প্রশাসনিক গাফিলতির জন্য আইএফএ মনোনীত তিন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, অচিন্ত্য বেলেল এবং কুন্তলা ঘোষ দস্তিদারের ‘এ’ লাইসেন্স হচ্ছে না। কারণ হিসাবে এআইএফএফ জানিয়েছিল, ৮ মার্চের বদলে ১১ মার্চ আইএফএ-র আবেদন আসায় আটকে গিয়েছে ওই তিন ফুটবলারের এএফসি ‘এ’ লাইসেন্স কোর্স করা।
শেষ পযর্ন্ত কী ভাবে খুলল এই জট? জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই ফুটবল মহলের প্রতিক্রিয়া এবং ‘এ’ লাইসেন্সের জন্য আগ্রহ দেখে আইএফএ সচিব উৎপলবাবু যোগাযোগ করেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাসের সঙ্গে। সেখানই বেরোয় সমাধান-সূত্র। আইএফএ-র তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কল্যাণীতে কোর্স পরিচালনার ব্যাপারে। কিন্তু ফেডারেশন কলকাতায় ‘এ’ লাইসেন্স করার ব্যাপারেই জোর দিয়েছে। যা মেনে নিয়েছে আইএফএও।
সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, কোর্সে যোগ দেবেন ২৪ জন। অগ্রাধিকার পাবেন স্থানীয় প্রার্থীরাই।
এই খবরে স্পষ্টতই অচিন্ত্য, কুন্তলারা খুশি হলেও বিশ্বজিৎ এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছেন না। অচিন্ত্য যখন বলছেন, “ছ’বছর ধরে ‘বি’ লাইসেন্স করে বসে রয়েছি। যদি দু’তিন মাস পরেই ‘এ’ লাইসেন্স শহরে বসে করা যায় তার চেয়ে ভাল খবর আর কী হতে পারে?” তখন ঠিক উলটো সুরেই বিশ্বজিৎ বললেন, “না আঁচালে বিশ্বাস নেই। যে ভাবে আটের বদলে এগারোতে আবেদন গিয়েছিল তা এখনও দুঃস্বপ্ন। কাজেই এএফসি-র সবুজ-সঙ্কেত না পাওয়া পর্যন্ত কোনও মন্তব্য নয়।” |
|
|
|
|
|