মালাগার নাটকীয় বিদায় ইনজুরি সময়ে দু’গোল খেয়ে |
সবচেয়ে খারাপ শত্রুকে হারাল রিয়াল: রোনাল্ডো |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
গালাতাসারের কাছে ফিরতি ম্যাচে তিন গোল হজম করেও রিয়াল মাদ্রিদ দু’পর্ব মিলিয়ে ৫-৩ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে ওঠার পর ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো স্বীকার করলেন, “ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে খারাপ শত্রুকে হারালাম।” মঙ্গলবার রাতে রোনাল্ডো দু’টো গোল করায় এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মহাতারকার মোট গোল দাঁড়াল ১১। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মেসির (৮) চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে। কিন্তু সিআর সেভেন নন, ইস্তানবুলের তুরস্ক টেলেকম এরিনা গত রাতে গালাতাসারে জুড়ি স্নাইডার-দ্রোগবার যুগলবন্দিতে মোহিত ছিল।
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বস স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসনের সাত বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল খেলার রেকর্ড রিয়াল কোচ মোরিনহো এই ম্যাচে স্পর্শ করলেন। তা সত্ত্বেও ‘দ্য স্পেশ্যাল ওয়ান’-এরও ম্যাচের পর আতঙ্কগ্রস্ত মন্তব্য, “গালাতাসারে টিমে ১১ জন ছিল না। ওরা ৫০ হাজার ছিল!” তুর্কি ক্লাব ফ্যানদের তীব্র সমর্থন গোটা ইউরোপিয়ান ফুটবল মহলে সুবিদিত। বের্নাবৌতে প্রথম লেগে রিয়াল ৩-০ এগিয়ে থাকলেও অ্যাওয়ে ম্যাচেও হাজার খানেক গালাতাসারে সমর্থক গ্যালারি মাত করে দিয়েছিল। |
|
দ্রোগবার উল্লাস। দেখছেন রোনাল্ডো। তবে শেষ হাসি হাসল রিয়ালই। ছবি: রয়টার্স। |
গত রাতে রোনাল্ডোর সাত মিনিটের গোলে রিয়াল সব মিলিয়ে ৪-০ এগিয়ে যাওয়ার পরেও ঘরের মাঠে সমর্থকদের তাতানিতে দ্বিতীয়ার্ধে একটা সময় ১৪ মিনিটের মধ্যে ইবু, স্নাইডার, দ্রোগবার গোলে গালাতাসারে ৩-৪ করে ফেলেছিল। তাদের বর্ষীয়ান কোচ তেরিম পরে বলেন, “আমি ভেবেছিলাম আমরাই সেমিফাইনাল যাচ্ছি। সেটা না ঘটলেও অন্তত এটা প্রমাণ করে দিতে পেরেছি বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম ভয়ঙ্কর টিম আমরা।” রিয়ালেরও ছিটকে যাওয়ার ভয় ধরেছিল যে, সেটা আরও বোঝা গিয়েছে ইনজুরি টাইমেও গোলের জন্য তাদের মরিয়া চেষ্টা দেখে। এবং ৯৩ মিনিটেও রোনাল্ডো গোল করেন।
ইনজুরি টাইমের মহানাটক আবার হয়ে গেল গত রাতে ডর্টমুন্ডের সিগন্যাল পার্কে। প্রথম লেগ গোলশূন্য থাকার পর মালাগা অ্যাওয়ে ম্যাচের অন্তিম মিনিটেও যখন ২-১ এগিয়ে আবির্ভাবেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল খেলার মহাস্বপ্নকে কার্যত বাস্তব করে ফেলেছে, তখনই ৯১ মিনিটে জার্মান জাতীয় দলের মিডফিল্ডার মার্কো রিয়াস এবং ৯৩ মিনিটে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ব্রাজিলীয় ডিফেন্ডার ফেলিপ সান্তানা অভাবিত গোল করে জার্মান ক্লাবকে শেষ চারে তোলেন। |
|
ম্যাচের নায়ক। ডর্টমুন্ডের সান্তানা। ছবি: এএফপি। |
যার পর বরুসিয়া কোচ ক্লোপ স্বীকার করেছেন, “উত্তেজনায় মাঠের প্রত্যেকে হৃদরোগের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল।” ম্যাচটা ২-২ ড্র রাখলেও অ্যাওয়ে ম্যাচে গোলের সুবাদে মালাগা-ই জিতত। স্প্যানিশ ক্লাবের দুই গোলদাতা জোয়াকুইন এবং এলিসেউ। বরুসিয়ার হয়ে ১-১ করা লেওয়ান্ডোস্কি ম্যাচের পর বলেছেন, “শেষ এগারো মিনিট অকল্পনীয় ফুটবল হয়েছে!” ওই সময়ই মালাগার দ্বিতীয় এবং বরুসিয়ার দু’গোল। যার শেষটি (সান্তানার গোল) অফ সাইড থেকে হয়েছে অভিযোগ করে বুধবার উয়েফার কাছে সরকারি ভাবে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছে মালাগা। স্প্যানিশ ক্লাবটির চিলিয়ান কোচ পেলিগ্রিনি-ই শুধু নন, দলটির কাতারি মালিকও রেফারিংয়ের তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, “এটা ফুটবল নয়। ম্যাচটার তদন্ত হওয়া উচিত!”
|
পুরনো খবর: সেমিফাইনালের দিকে বড় পা বাড়িয়েও নিন্দা কুড়োল রিয়াল |
|