|
|
|
|
|
দলটাকে একটা পরিবার করে
তোলার চেষ্টা করছে যুবরাজ
দীপ দাশগুপ্ত |
|
|
প্রথম সপ্তাহেই জোড়া হারের ধাক্কা। তবে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠে এ বার আমাদের পুণে ওয়ারিয়র্সের সামনে যে নতুন লড়াই, সেখানে মাথা তুলে দাঁড়ানোর জন্য দলের ছেলেদের বাড়তি শক্তি জোগাবে যুবরাজ সিংহ।
হ্যাঁ, ভাল খবর এটাই, যুবি মাঠে ফিরছে। যার মানে গোটা দলটাই চাঙ্গা হয়ে উঠবে। এমনিতেই সতীর্থদের সমানে তাতানোর চেষ্টা করে গিয়েছে ও। যে ক’দিন মাঠে নামতে পারেনি, সেই ক’দিন ধরেই চেষ্টাটা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু খেলাটা তো মাঠেই হয়। হার-জিত সব কিছুই মাঠে। তাই মাঠে নামতে না পারায় যুবির কাজটা অসম্পূর্ণ থেকে যাচ্ছিল। এ বার কাজটা পুরোপুরি করতে পারবে ও। বৃহস্পতিবার মাঠে নামছে যুবি।
এমনিতেই এই নামটা এখন সারা দেশের যুবসমাজকে প্রেরণা জোগায়। যুবরাজের নাম পাল্টে এখন প্রায় ‘যুবস্ট্রং’-ই হয়ে গিয়েছে। সেই যুবরাজ যখন মাঠে নেমে ছেলেদের তাতাবে। বলবে, “আমার জন্য ম্যাচটা জিতে দেখা দেখি”। তখন কি আর ওরা মাথা না তুলে দাঁড়িয়ে পারবে? রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতেই হবে। রবিন উত্থাপা দেখলাম টুইট করেছে, “জীবন একটা অভিযান, যুদ্ধ নয়। হার-জিত আছেই। জয়ে আমরা ফিরবই।” দেখা যাক, সত্যিই তা করে দেখাতে পারে কি না টিম।
অনেকেই বলবেন আমাদের দুটো হারই অবাক করার মতো। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে একশোও তোলা যায়নি। কিন্তু এটা খুব অবাক করার মতো নয়। আমাদের নতুন কোচ, অনেক নতুন ক্রিকেটার রয়েছে টিমে। নতুন ওপেনিং জুটি। এ রকম একটা নতুন ইউনিটের দল হয়ে উঠতে সময় লাগবে। টিভিতে ‘বিগ বস’ অনেকেই দেখেছেন। কী ভাবে ভিন্ন জায়গার, ভিন্ন ভাষার, ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ এক জায়গায় এসে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার চেষ্টা শুরু করে। কেউ পারে, কেউ পারে না। এখানেও ব্যাপারটা সে রকম। দলটা একটা পরিবার হওয়ার চেষ্টা করছে। সেই কাজটা তাড়াতাড়ি করতে পারলে ছেলেরা স্বাভাবিক ফর্মে আসতে পারবে। যুবি প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেছে। এক জন মোটিভেটরকেও আমরা এনেছিলাম। ভদ্রলোক আমেরিকায় থাকেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত। বুধবার ছেলেদের সঙ্গে উনি বসেছিলেন। ছেলেরা যে বেশ ফুর্তিতে রয়েছে। ডোনাল্ড এই ব্যাপারটার উপর বেশি জোর দেন। ডোনাল্ডের সাফ কথা, ম্যাচের ফল যা-ই হোক না কেন, কেউ মুখ গোমড়া করে বসে থাকতে পারবে না। সে দিন যেমন একটা কাণ্ড ঘটেছে। একটা বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের জন্য রস টেলরকে হিন্দি বলতে হবে। সে জন্য ছেলেরা ওকে হিন্দি শেখানোর চেষ্টা করছে। আর বাঙালি যেমন সুবুদ্ধিতে আগে, তেমন খুনসুটিতেও তো কম যায় না। অশোক দিন্দা রসকে কিছু হিন্দি গালিগালাজ শিখিয়েছে। রস সে সব যেখানে পারছে, গিয়ে বলছে। যা তা সব কাণ্ড শুরু হয়েছে। এর জন্য দু’জনেই ধোলাই খেতে পারে বলে মনে হচ্ছে আমার। এই সব খুনসুটিতে আবার যুবরাজও ওস্তাদ। তাই ও নিজেও তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছে ঘটনাটা। |
|
|
|
|
|