|
|
|
|
গুলির গুজব রটিয়ে যুবক পুলিশের জালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
পুলিশকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। সে জন্য গুলি করে ছিনতাই করা হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তবে তদন্ত শুরু করতে পুলিশের কিছু প্রশ্ন জাগে। শেষমেশ দেখা যায়, গুলি চলা বা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। বরং, যাকে ঘিরে ছিনতাইয়ের গুজব ছড়ানো হয়েছিল, সে-ই দুষ্কৃতীদের একজন। দলবল নিয়ে গোলমাল করতে গিয়ে নিজে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। শ্রীনিবাস রাও নামে ওই যুবকের চিকিৎসা চলছে মেদিনীপুর মেডিক্যালে। তাঁর সঙ্গে যারা গোলমাল করতে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খড়্গপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “বাকি অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশের কাছে খবর আসে, খড়্গপুর লোকাল থানার সাদাতপুরের কাছে গুলি চলেছে। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুষ্কৃতীরা এক যুবককে গুলি করে ছিনতাই করে। যুবকের পায়ে গুলি লাগে। তার নাম শ্রীনিবাস রাও। বাড়ি খড়্গপুরে। পুলিশ অবশ্য ঘটনাস্থলে গিয়ে কার্তুজের খোল পায়নি। ফলে, গুলি চলা নিয়ে পুলিশের মনে ধন্দ দেখা দেয়। অভিযোগকারীদের কথাবার্তাও অসংলগ্ন ছিল। পুলিশ জানতে পারে, মঙ্গলবার দুপুরে কেশিয়াড়ির ল্যাঙ্গামারায় সঞ্জয় গিরি নামে এক যুবককে মারধর করে কয়েকজন। তারা খড়্গপুর থেকে গিয়েছিল। তদন্তে জানা যায়, সোমবার রাতে এলাকায় গানের জলসা ছিল। সেখানে সঞ্জয়ের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের বচসা হয়। তখনই শ্রীনিবাস গুলিবিদ্ধ হয়। গোটা ঘটনাটি আড়াল করতে সাদাতপুরে ছিনতাইয়ের গল্প ফাঁদে শ্রীনিবাস ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা।
ধৃত ৯ জনকে বুধবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। ৪ জনকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল পুলিশ। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষে ওই ৪ জনকে ফের ১৩ এপ্রিল আদালতে হাজির করা হবে। বাকি ৫ জনের ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। |
|
|
|
|
|