|
|
|
|
পুড়ে মৃত্যু বধূর, ধৃত প্রেমিক ও স্বামী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে আরামবাগের পল্লিশ্রীতে। মৃতদেহটি চাদরে মুড়ে অন্যত্র সরানোর সময়ে স্থানীয় মানুষ সুনীল মণ্ডল নামে ওই যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে জাহানারা বেগম (৩০) নামে নিহত মহিলার দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বধূর বাপের বাড়ি আরামবাগের মায়াপুরে। বছর দ’শেক আগে তাঁর বিয়ে হয় স্থানীয় দক্ষিণ রসুলপুরের হাসান আলির সঙ্গে। মাস ছ’য়েক আগে স্বামীর সূত্রেই সুনীল মণ্ডল নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার মায়াহাউরি গ্রামে ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর আলাপ।
ক্রমশ ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দু’জনের। তারই জেরে মাস দু’য়েক ধরে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে জাহানারার।
তিনি বাপের বাড়ি চলে আসেন। দিন পনেরো হল সুনীল আরামবাগের পল্লিশ্রীতে বাড়ি ভাড়া নেন। সেখানেই দু’জনে থাকতে শুরু করেন। সে কথা অবশ্য জানতেন না জাহানারার বাপের বাড়ির লোকজন। ওই যুবতী বলেছিলেন, বর্ধমানে কাজ পেয়েছেন। সেখানেই থাকতে হবে।
মঙ্গলবার আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে চাদর মুড়ি দেওয়া জাহানারার দেহ দেখে স্থানীয় মানুষের সন্দেহ হয়। সঙ্গে ছিলেন সুনীল। তাঁকে প্রশ্ন করলে পালানোর চেষ্টা করেন। ধাওয়া করে কালীপুর থেকে তাঁকে ধরে পুলিশে দেয় জনতা। সুনীলের দাবি, “দুর্ঘটনায় বাড়িতে আগুন লাগে। ও পুড়ে যায়। কিন্তু ভয়ে হাসপাতালে আসতে পারিনি। সকালে অবস্থা খারাপ দেখে কলকাতা নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। মারা গেছে বুঝতে পারিনি।” সুনীলকে গ্রেফতার করে খুনের মামলা শুরু করেছে পুলিশ।
জাহানারার স্বামী খন্দকার হাসান আলিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন তিনি। জাহানারার দাদা জয়দীপ ওয়ামনের অভিযোগ, বোনের স্বামী ও প্রেমিক দু’জনেই পরিকল্পনা করে খুন করেছে। বধূর স্বামীর দাবি, “স্ত্রী বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। আমার দোষ, তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। খুনের সঙ্গে যোগ নেই আমার।” |
|
|
|
|
|