মোটরবাইকে রাখা বোমা ফেটে জখম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দননগর |
পুলিশ ধাওয়া করায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মোটরবাইকে চড়ে তীব্র গতিতে পালাচ্ছিল তিন দুষ্কৃতী। কিন্তু উল্টো দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশার সঙ্গে মোটরবাইকটির সংঘর্ষে ফেটে যায় দুষ্কৃতীদের ব্যাগে থাকা বোমা। ছড়িয়ে পড়ে আগ্নেয়াস্ত্র। দুষ্কৃতীদের নাগাল না পেলেও পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্রগুলি উদ্ধার করেছে। বোমার আঘাতে জখম হন অটোর এক মহিলা যাত্রী। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
বুধবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে চন্দননগরের গঞ্জের বাজারের কাছে জি টি রোডে। রত্না দে সরকার নামে বাগবাজার এলাকার বাসিন্দা জখম ওই অটোযাত্রীকে চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাত-সহ তাঁর শরীরের নানা জায়গা এবং কাপড়ের একাংশ পুড়ে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। |
|
উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। নিজস্ব চিত্র। |
এসডিপিও (চন্দননগর) সৈকত ঘোষ বলেন, “সন্দেহ হওয়ায় টহলরত পুলিশ ওই মোটরবাইকটিকে ধাওয়া করে। অটোর সঙ্গে সংঘর্ষের সময়েই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে থাকা বোমা ফেটে যায়। এক মহিলা আহত হন। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে থাকা চারটি পাইপগান, চারটি পাইপগানের গুলি, একটি খুর এবং নয় রাউন্ড রিভলভারের গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মনে হয়, কোনও অপরাধ সংগঠিত করতেই দুষ্কৃতীরা অস্ত্রগুলি নিয়ে যাচ্ছিল। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ ভদ্রেশ্বরের অ্যাঙ্গাস থেকে চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়ে যাচ্ছিল অটোটি। পিছনের সিটে একটি শিশু ও রত্নাদেবী-সহ তিন জন ছিলেন। রত্নাদেবী বসেছিলেন সিটের ডান দিকে। সামনে চালক ছাড়া আর এক জন যাত্রী ছিলেন। সেই সময়ে ওই বাজার এলাকায় একটি ব্যাঙ্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন চন্দননগর থানার পুলিশকর্মী অজয়কুমার হাজরা এবং নরেন্দ্রপ্রসাদ শর্মা।
দুষ্কৃতীদের মোটরবাইকটিকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পিছু নেন। কিছুটা এগোতেই ওই দুর্ঘটনা এবং বোমা বিস্ফোরণ। ধোঁয়ায় চারদিক ঢেকে যাওয়ার সুযোগে দুষ্কৃতীরা পালায়। রাস্তায় ছড়িয়ে যায় আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি। আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। রত্নাদেবী বলেন, “অটোর সঙ্গে মোটরবাইকটির ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গেই বোমা ফাটে।” |
|