ফের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক ভাগচাষির। তাঁর নাম নিধুরাম সামন্ত (৭০)। বাড়ি আরামবাগের সাতমাসা গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত শনিবার দুপুরে মাঠে কীটনাশক ছড়ানোর জন্য যান তিনি। সেখানেই কীটনাশক খান। পরে বাড়ি ফিরে এসে তা জানান। তাঁকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই মঙ্গলবার দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর ভাই জগন্নাথ সামন্ত বলেন, “দাদা আড়াই থেকে তিন বিঘে জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। আলুর ফলন যথেষ্ট ভাল হয়েছিল। কিন্তু দাম না পেয়ে তাঁর অনেক লোকসান হয়েছিল। ফের স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে টাকা ধার করে উনি ওই তিন বিঘে জমিতেই বোরো চাষ করেছিলেন। এতে তাঁর প্রায় ২৫ হাজার টাকার দেনা হয়ে যায়।” তাঁদের অভিযোগ, দেনার দায়েই মৃত্যু হয়েছে ওই চাষির। নিধুরামবাবুর প্রতিবেশী বেচারম মালিকের বক্তব্য, “এখানে আলু দেড়শো টাকা বস্তা। আলুচাষিদের অবস্থা খুবই খারাপ।”
|
খুনের অভিযোগে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করল বর্ধমান পুলিশ। বুধবার জামালপুরের বাহাদুরপুরের ঘটনা। পুলিশ জানায়, এ দিন আসরফা আলি (৩২) নামে এক যুবকের গলায় ফাঁস দেওয়া দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মৃতের মামা ইয়াকুব আলি অভিযোগ করেন, আসরফের স্ত্রী আসেমা বিবির সঙ্গে গ্রামেরই বাবলু রায় নামে এক যুবকের সম্পর্ক হয়। এই নিয়ে পারিবারিক অশান্তি ছিল। ইয়াকুবের দাবি, বাবলুর সাহায্যে আসেমা তাঁর স্বামীকে খুন করে দেহের গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। তার ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের ধরা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। |