|
|
|
|
বন্দি মৃত্যু, জেলের দুই কর্মীকে শো-কজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জেল চত্বরে বন্দির আত্মহত্যার ঘটনায় দু’জনকে শো- কজ করলেন জেল কর্তৃপক্ষ। এক সপ্তাহের মধ্যে শো-কজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জেল সূত্রে খবর, যে দু’জনকে শো-কজ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ফটিক কারক নামে এক ওয়ার্ডার ও প্রদীপ রায় নামে ইনচার্জ। জেল সূত্রে খবর, শো-কজের জবাব দেখে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হতে পারে। এ নিয়ে অবশ্য কিছু বলতে নারাজ জেল সুপার খগেন্দ্রনাথ বীর। তাঁর বক্তব্য, “এটা প্রশাসনিক ব্যাপার।”
গত বৃহস্পতিবার জেল চত্বরের মধ্যে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন চিরঞ্জিৎ রাণা নামে এক বিচারবিভাগীয় বন্দি। ওই দিন সকালে জেল চত্বরের মধ্যে একটি গাছে তাঁর দেহ ঝুলতে দেখা যায়। এক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গাছ থেকে দেহ নামানো হয়। পরে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। বধূ হত্যার মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন চিরঞ্জিৎ। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুরুতে তিনি কাঁথি উপ-সংশোধনাগারে ছিলেন। গত ২৭ মার্চ মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। ওই বন্দি বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। চিকিৎসার জন্য তাঁকে কাঁথি থেকে মেদিনীপুরে স্থানান্তর করা হয়। জেল চত্বরে কারারক্ষীরা থাকেন। রক্ষীদের নজর এড়িয়ে কী ভাবে ওই বন্দি এ ভাবে আত্মহত্যা করলেন, সে প্রশ্ন ওঠে। মৃতের পরিবারও ঘটনার তদন্তের দাবি জানায়। এরপরই নড়েচড়ে বসে জেল কর্তৃপক্ষ। |
পুরনো খবর: ফের জেল চত্বরে গাছে বন্দির দেহ
|
|
|
|
|
|