|
|
|
|
ফের জেল চত্বরে গাছে বন্দির দেহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জেল চত্বরের মধ্যে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক বিচারাধীন বন্দি। মৃতের নাম চিরঞ্জিৎ রাণা (২১)। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পূর্ব রঘুনাথপুরে। বৃহস্পতিবার সকালে জেল চত্বরের একটি গাছে তাঁর দেহ ঝুলতে দেখা যায়। পরে পুলিশ পৌঁছয়। এক এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গাছ থেকে দেহ নামানো হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে কী ভাবে কারারক্ষীদের নজর এড়িয়ে ওই বন্দি আত্মহত্যা করলেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। জেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কাউকে শো-কজ করেননি। মৃতের দাদা প্রসেনজিৎ রাণা ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “ভাই আত্মহত্যা করতে পারে না।”
বধূ হত্যার মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন চিরঞ্জিৎ। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেল সূত্রে খবর, শুরুতে তিনি কাঁথি উপ-সংশোধনাগারে ছিলেন। গত ২৭ মার্চ মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। ওই বন্দির পক্স হয়েছিল। চিকিৎসার জন্য কাঁথি থেকে মেদিনীপুরে স্থানান্তর করা হয়। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বসন্ত রোগে আক্রান্তদের পৃথক সেল রয়েছে। সেই সেলেই তাঁকে রাখা হয়েছিল।
জেলেরই এক সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে বন্দিরের সংখ্যা গোনার সময় দেখা যায়, একজন বন্দি নেই। এরপরই খোঁজ শুরু হয়। পরে দেখা যায়, ওই সেলের পিছনে একটি গাছে তাঁর দেহ ঝুলছে। খবর পেয়ে জেলে পৌঁছন এআইজি (কারা) কল্যাণ প্রামানিক। পৌঁছয় পুলিশও। গত ডিসেম্বরে জেল চত্বরেই গলায় মাফলারের ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন অনুপ হাইত নামে এক সাজাপ্রাপ্ত আসামী।
কোন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ নামানো হবে, জুডিশিয়াল না এক্সিকিউটিভ, এই টানাপোড়েনের জেরে ওই বন্দির দেহ রাতভর গাছে ঝুলে ছিল। ঘটনার জেরে বিড়ম্বনায় পড়েন জেল কর্তৃপক্ষ। এ বার অবশ্য তা হয়নি। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ নামানো হয়। কিন্তু, জেল চত্বরের মধ্যে কী ভাবে এমন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে, সে প্রশ্ন রয়েছে। মানসিক অবসাদে ওই বন্দি গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করছেন জেল কর্তৃপক্ষ। |
|
|
|
|
|