আশ্বাসে উঠল ছাত্র-অনশন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
প্রথম দিনে বিক্ষোভ। দ্বিতীয় দিনে পরীক্ষা না দিয়ে কলেজের গেট আটকে বিক্ষোভ। তৃতীয় দিন, বৃহস্পতিবার হলদিয়ার ‘গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখানোয় আরও এক ধাপ এগোলেন। ক্যাম্পাসিংয়ের নামে ‘ভুয়ো’ নিয়োগকারী এনে ‘প্রতারণা’ করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষএমন অভিযোগে তৃতীয় দিনে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই অনশন-বিক্ষোভ শুরু করলেন তাঁরা। পরে অবশ্য কলেজ কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অনশন-অবস্থান তুলে নেন সকলে।
|
|
তখনও বিক্ষোভ চলছে। —নিজস্ব চিত্র। |
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২২ মার্চ থেকে অন্তিম অর্থাৎ তৃতীয় বর্ষের শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষা। তার আগে খুব কম পড়ুয়াই ক্যাম্পাসিংয়ে চাকরি পেয়েছেন। তারই মধ্যে আবার একটি সংস্থা বেতন নিয়ে দু’রকম কথা বলায় প্রতারণার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার থেকে কলেজ গেটের বাইরে বিক্ষোভে বসেন ১৯ জন পড়ুয়া। পরে সেই বিক্ষোভে সামিল হন দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের আরও কিছু পড়ুয়া।
বুধবার বিক্ষুব্ধরা গেট আটকে দিলে বাতিল হয় দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ সেমিস্টারের প্রথম দিনের আভ্যন্তরীণ পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার ফের ৬ ছাত্রী-সহ ওই ১৯ জন পড়ুয়া অনশন শুরু করেন। প্রথম, দ্বিতীয় তৃতীয় বর্ষের প্রায় শ’খানেক পড়ুয়া হরতালে সামিল হয়ে পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিকেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের পূর্ণ বেতনের ব্যাপারে নিশ্চয়তা ও আরও ক্যাম্পাসিংয়ের আশ্বাস দিলে অনশন-অবস্থান ওঠে। বাতিল পরীক্ষাগুলি অন্য দিনে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। |
|