সাংগঠনিক নির্বাচনে কংগ্রেসের কোন্দল
যুব কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল ঝাড়গ্রামে। সভাপতি পদের এক প্রার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল বিদায়ী সভাপতি কৌশিক মহাপাত্র ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। অপহৃত প্রার্থী খন্দকার শামিম আলিকে অবশ্য পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। শামিমের বাড়ি ঝাড়গ্রামের শালপাতড়া গ্রামে। এদিন শামিম আলি-ই যুব কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের নতুন সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। বিকেলে ঝাড়গ্রাম থানায় কৌশিক মহাপাত্র ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন শামিম। পুলিশ জানিয়েছে, শামিমের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকেই অবশ্য আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।
শামিমের অভিযোগ, এ দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ঝাড়গ্রাম কংগ্রেস ভবনে যাওয়ার পথে কৌশিকের নেতৃত্বে জনা কুড়ি সশস্ত্র যুবক তাঁকে মারধর করে একটি গাড়িতে জোর করে তুলে নেয়। শামিমের দাবি, গাড়িটি কৌশিকের। ওই গাড়িতে করে তাঁকে জামবনির চিল্কিগড়ে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে আর এক দফা বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শামিমের দাবি, দুপুর বারোটা নাগাদ ঝাড়গ্রাম শহরের সাবিত্রি মন্দিরের কাছে তাঁকে ফেলে পালায় ‘অপহরণকারীরা’। পরে সংগঠনের সদস্যরা শামিমকে উদ্ধার করে কংগ্রেস ভবনে নিয়ে যায়। এ দিন ঝাড়গ্রাম কংগ্রেস ভবনে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত যুব কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন ছিল। যুব কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সভাপতি কৌশিক-সহ মোট ৫ জন প্রার্থী ছিলেন। বাকি ৪ জন প্রার্থীই ছিলেন আনকোরা। এর মধ্যে প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অরিন্দম ভট্টাচার্যের অনুগামী শামিম জিততে চলেছেন বলে কানাঘুষোয় খবর ছিল। বিদায়ী সভাপতি কৌশিক মহাপাত্র হলেন প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি মৌসম বেনজির নূর-এর অনুগামী। এ দিন শামিমের অপহরণ কাণ্ড ঘিরে উত্তেজনা ও চাঞ্চল্যের মধ্যেই ঝাড়গ্রাম কংগ্রেস ভবনে সাংগঠনিক নির্বাচন শুরু হয় সকাল দশটায়। সাড়ে বারোটা নাগাদ ‘মুক্তি’ পেয়ে শামিম নির্বাচন স্থলে আসেন। তার কিছু আগেই চলে এসেছিলেন কৌশিকও। সংগঠনের ৮৬ জন প্রতিনিধি-ভোটার ভোট দেন। ৮৬টি ভোটের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৫টি পেয়ে নির্বাচিত হন শামিম। পরাজিত কৌশিক পান মাত্র ১১টি ভোট। বাকি তিন জন প্রার্থী যথাক্রমে ১৯, ১১ ও ৯টি ভোট পান। একটি ভোট বাতিল হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে কৌশিকের পাল্টা দাবি, “পুরোটাই সাজানো ঘটনা। কংগ্রেসের একটি গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে অঢেল টাকা খরচ করে আমাকে হারিয়ে দিল।” ঝাড়গ্রাম মহকুমা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ মাহাতোর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “এটা দলের যুব সংগঠনের আভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে ঘটনাটি দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.