|
|
|
|
ঠাণেতে অনিচ্ছাকৃত খুনে অভিযুক্ত ন’জন, হেফাজতে পুরপিতাও |
সংবাদসংস্থা • ঠাণে |
বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় ধৃত ন’জনকে আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল ঠাণের এক নিম্ন আদালত। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ঠাণে পুরসভার পুরপিতা তথা এনসিপি-নেতা হিরা পাটিল, উপ পুর কমিশনার দীপক চহ্বান, সহকারী পুর কমিশনার বালাসাহেব আন্ধালে প্রমুখ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে এনসিপি থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে হিরা পাটিলকে। পাটিলকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছেন দলীয় মুখপাত্র নবাব মালিক। এনসিপি নেতৃত্বের দাবি, ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয় তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হোক দোষীদের।
ঠাণের পুলিশ কমিশনার কে পি রঘুবংশী এ দিন এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, মুম্বরার নির্মীয়মাণ ওই বহুতলটি বেআইনি জেনেও পুরপিতা হিসেবে কোনও পদক্ষেপ করেননি পাটিল। উপরন্তু বাড়িটির নির্মাণ যাতে নির্বিঘ্নে চলতে থাকে তার অনুমতি দিতেই বিল্ডারদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন বিপুল পরিমাণ ঘুষ। একই অভিযোগ উঠেছে ঠাণের সহকারী পুলিশ ইনস্পেক্টর জে সঈদের বিরুদ্ধেও। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান পাটিলের কথা মতোই নাকের ডগায় বেআইনি নির্মাণ হতে দেখেও চুপ করেছিলেন সঈদ। পুলিশ কমিশনার রঘুবংশী আরও জানান, বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনার পর উপ পুর কমিশনার দীপক চহ্বানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁরা প্রায় ৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছেন। তাঁর দাবি, “এর পিছনে একটা বড় চক্র কাজ করছে। এই ঘটনার জন্য যেই দায়ী হোক, আইনের চোখে দোষ প্রমাণিত হলে আদালত শাস্তি দেবে।”
অন্য দিকে, মুম্বরার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে যে তিনটি শিশুকে কাল জীবিত উদ্ধার করেন দমকলকর্মীরা, তাদেরই দু’জনকে একটি অনাথ আশ্রমের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ঠাণে পুলিশ। ওই তিন শিশুর পরিবার পরিজনের কোনও খোঁজ না মেলায় এই পদক্ষেপ বলে জানালেন এক পুলিশ কর্মী। পুলিশ সূত্রেই খবর, বৃহস্পতিবারের ঘটনায় মৃত ৭৪ জনের মধ্যে ন’জনের পরিচয় জানা যায়নি এখনও। ঠাণেরই সিভিল হাসপাতালে রাখা আছে তাঁদের মরদেহ। |
পুরনো খবর: ঠাণে-কাণ্ডে মৃত বেড়ে ৭২, ধৃত দুই বিল্ডার |
|
|
|
|
|