প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি একটি সম্মেলনে যোগ দিতে দু’দিনের সফরে আজ দিল্লিতে এসেছেন মোদী। বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহ আজই তাঁর নতুন টিম নিয়ে দিনভর বৈঠক করেছেন। সেখানে লোকসভা নির্বাচনে জয়ের মন্ত্র দেন মোদী। বলেন, “গোটা দেশে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভকে কাজে লাগাতে হবে। এর জন্য স্যোশাল মিডিয়াকেও ব্যবহার করতে হবে।” অণ্ণা হজারের আন্দোলনের সময় যুব সমাজ এই স্যোশাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়েছিল। দিল্লিতে গণধর্ষণের পর অণ্ণা হজারের মতো কোনও মুখ না থাকলেও যুব সমাজ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই একটি বড় আন্দোলন সংগঠিত করেছিল। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “জয় করব, এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই ময়দানে নামতে হবে। আবার সহজেই জিতে যাব, এই অতি-বিশ্বাসেও সওয়ার হওয়া চলবে না।”
মোদীর সামনেই বিজেপি স্থির করে, আগামী ছ’মাসে গ্রামে গ্রামে অন্তত ৭০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। বুথ কমিটি বানাতে হবে। যুবকদের কাছে পৌঁছনোর জন্য বরুণ গাঁধী, প্রয়াত প্রমোদ মহাজনের কন্যা পুনম ও যুবনেতা অনুরাগ ঠাকুরকে নিয়ে একটি কমিটিও হয়েছে। ঠিক হয়েছে, অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমল ও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির ‘সুশাসনের’ কথাও তুলে ধরা হবে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা নেতারা কংগ্রেস আমলে মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতির পাশাপাশি মোদীর উন্নয়নের মডেল অনুসরণ করার কথাই বলেন। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, “মোদী উন্নয়ন করেছেন বলেই তো সকলে ওঁর পথ ধরছেন।” কাল রাতেই দিল্লি থেকে কলকাতা উড়ে যাচ্ছেন মোদী। এ দিন কলকাতা সফর নিয়ে রাহুল সিংহের সঙ্গে এক প্রস্ত কথা বলেন মোদী। রাজ্য তাঁদের নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বুকিং দেয়নি বলে অভিযোগ করেন রাহুল। মোদী জানান, তিনি ইতিমধ্যেই সে খবর পেয়েছেন। মমতার আচরণে তিনি বিস্মিত। |