|
|
|
|
মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ রুখতে চাই আরও ব্যবস্থা, মত মনমোহনের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ কমাতে আরও অনেক কিছু করা প্রয়োজন। দিল্লি গণধর্ষণের পরে বিষয়টি নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। আজ মুখ্যমন্ত্রী ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে আরও অনেক বিচারক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, দিল্লি গণধর্ষণের পরে দ্রুত আইন সংশোধন করেছিল কেন্দ্র। তবে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ কমাতে আরও অনেক কিছুই করার আছে বলে মনে করেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর সতর্কবাণী, “মুহূর্তের উত্তেজনায় যুক্তি হারালে চলবে না। বিচারবিভাগীয় সংস্কারের দাবি এখন প্রবল। তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কও হচ্ছে। কিন্তু সে দিকে নজর দিতে গিয়ে সুবিচারের মূল নীতিগুলি ভুলে যাওয়া উচিত নয়।” দেশে জনসংখ্যার অনুপাতে বিচারকের সংখ্যা একেবারেই সন্তোষজনক নয় বলে মেনে নিয়েছেন মনমোহন। তাঁর মতে, দেশে এখন তিন কোটি মামলা ঝুলে রয়েছে। সেগুলির মধ্যে ২৬ শতাংশ পাঁচ বছরেরও বেশি পুরনো। এই পরিস্থিতিতে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য রাজ্যগুলিকে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেছেন মনমোহন। কেবল জঘন্য অপরাধ নয়, মহিলা, শিশু ও বয়স্কদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রেও দ্রুত বিচারের জন্য ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্ট তৈরিতে জোর দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস, বিচারবিভাগের উন্নতির জন্য কেন্দ্র উপযুক্ত আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করবে। বিচারবিভাগীয় খাতে বরাদ্দ বাড়াতে তাঁরা চতুর্দশ অর্থ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি।
বিচারবিভাগের পরিকাঠামোর উন্নতির প্রয়োজন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীর। তাঁর কথায়, “পরিকাঠামো বলতে কেবল ভবনের ব্যবস্থা করলেই হবে না। প্রয়োজনীয় কর্মীও সরবরাহ করতে হবে।” কবীরের মতে, ভারতে নাবালক বিচার ব্যবস্থা নিয়ে আরও ভাবনা-চিন্তা করা প্রয়োজন। নাবালকদের উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে না পারলে ভবিষ্যতে বিপাকে পড়বে দেশ। কারণ, ১০ থেকে ১৫ বছর পরে এই নতুন প্রজন্মই দেশের হাল ধরবে। কবীরের আক্ষেপ, জনসংখ্যার এক বড় অংশ জীবনযাপনের উপযুক্ত সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ফলে, মাদকাসক্তি-সহ বেশ কিছু সমস্যার কবলে পড়ছে তারা। কবীরের কথায়, “নাবালকদের রক্ষার স্বার্থেই নাবালক বিচার আইন তৈরি হয়েছে। এই আইন অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা উচিত।
ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মতে, পুলিশি তদন্ত ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থায় এখনই সংস্কারের প্রয়োজন।
|
ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে জোর রাজ্যের, দাবি চন্দ্রিমার
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দিল্লির গণধর্ষণ কাণ্ডের পর দেশের সব রাজ্যে মহিলাদের জন্য বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠনে জোর দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই নির্দেশ মেনে রাজ্যে ৪৫টি আদালত তৈরি করা হয়েছে বলে দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের সম্মেলনে জানালেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
আজ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনিই। চন্দ্রিমার দাবি, পশ্চিমবঙ্গে যে ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গড়া হয়েছে তার মধ্যে ৪৫টি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তা ছাড়া আরও ৬২টি গ্রাম আদালত খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, দেশে প্রতি ১০ লক্ষ মানুষ পিছু ৩০ জন বিচারক থাকা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যমাত্রা থেকে দেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহই। চন্দ্রিমার অবশ্য দাবি, রাজ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে বিচারকের সংখ্যা জাতীয় গড়ের চেয়ে আর একটু বেশি। আরও পদ সৃষ্টি করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ৬২টি গ্রাম আদালত গড়ার পরিকাঠামোগত খরচের পুরোটাই কেন্দ্রের কাছে চেয়েছেন চন্দ্রিমাদেবী। তাঁর বক্তব্য, “এর জন্য কেন্দ্রীয় সাহায্য না পেলে নির্দিষ্ট মানের পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়।” |
|
|
|
|
|