|
|
|
|
ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী তাণ্ডব |
লাইনে সিলিন্ডার বোমা, নাশকতা এড়াল রাজধানী |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
বিহারের পর এ বার ঝাড়খণ্ডে ট্রেন ওড়ানোর ছক কষেছিল মাওবাদীরা। কিন্তু এক কি-ম্যানের তৎপরতায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। শনিবার রাতে বিহারে অল্পের জন্য রক্ষা পায় ডাউন দিল্লি-বরাউনি এক্সপ্রেস। আজ সকালে গিরিডি জেলায় রক্ষা পেল হাওড়ামুখী রাজধানী এক্সপ্রেস ও আপ আসানসোল-গয়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস।
ধানবাদ থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে, গিরিডি জেলার চেগরো ও চৌধরিবাঁধ স্টেশনের মধ্যবর্তী আপ লাইনে বিস্ফোরক ঠাসা সিলিন্ডার বোমাটি রেল লাইনের সঙ্গো আটকানো ছিল। ধানবাদের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সুধীর কুমার বলেন, “এক কি-ম্যান বোমাটি দেখতে পেয়ে চেগরো স্টেশনে খবর দেন। ওই সময় আপ আসানসোল-গয়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস চেগরো স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল। ডাউন লাইনে হাওড়াগামী রাজধানী একপ্রেসও তখন আসছে।” |
|
লাইনে বসানো সেই সিলিন্ডার বোমা। —নিজস্ব চিত্র। |
রেল আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ঘটনার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আপ লাইনে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের চৌধরিবাঁধের দিকে যাওয়ার কথা ছিল। হাওড়াগামী রাজধানী তখন গয়া ছেড়ে পরেশনাথের দিকে এগোচ্ছিল। মাঝপথে চৌধরিবাঁধ কিংবা চেগরো কোথাও সেটির দাঁড়ানোর কথা নয়।
লাইনে বোমা থাকার খবর পৌঁছতেই চেগরো হল্ট থেকে রেলের তরফে আরপিএফ এবং গিরিডি জেলা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রাজধানী এক্সপ্রেস-সহ ওই লাইনের একাধিক ট্রেনকে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে দেওয়া হয়। সকাল দশটা নাগাদ বোমা নিষ্ক্রিয় করে ফের ট্রেন চালু করা হয়।
রাজধানী এক্সপ্রেসে যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তিনি জানান, বেলা আড়াইটে নাগাদ রাজধানী হাওড়ায় পৌঁছয়। সামান্য কেক, বিস্কুট ছাড়া কোনও খাবার দেওয়া হয়নি। তিনি যাত্রী নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় দেড় ফুট লম্বা সিলিণ্ডারে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ কেজি বিস্ফোরক ভরে লাইনের সঙ্গে আটকে দেওয়া হয়েছিল। ৩২৫/১৫ এবং ৩২৫/১৭ এই দু’টি রেলপোস্টের মাঝের লাইনে বোমাটি রাখা হয়েছিল। গিরিডির জেলা পুলিশ সুপার বলেন, “বোমাটি খুবই নিম্ন ক্ষমতার ছিল।” |
|
|
|
|
|