ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকে ক্যাশবাক্স থেকে টাকা চুরির অভিযোগে দুই যুবককে বেধড়ক মারধর করলেন উত্তেজিত জনতা। পাশাপাশি, অভিযুক্তদের একটি বাইকও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে দোকানের মালিক জনতার হাত থেকে অভিযুক্তদের ছাড়িয়ে দোকানে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার এফসিআই মোড় বাজার এলাকায়।
ধৃতদের নাম মহম্মদ আজাদ ও মহম্মদ আলম। দু’জনের বাড়ি রায়গঞ্জের বাসুদেবপুর ও রাসবিহারী মার্কেট এলাকায়। রায়গঞ্জ থানার পুলিশ জানায়, আজাদের বিরুদ্ধে একাধিক বাইক চুরির অভিযোগ রয়েছে। কয়েকমাস জেল খাটার পর সে জামিনে ছাড়া পেয়েছে। এ দিন দোকানের মালিক বাবলু মুর্মু অভিযুক্তদের দোকানে ঢুকিয়ে আটকে না রাখলে জনতার মারে তারা মারা যেতে পারত। বাবলুবাবু বলেন, “আমি জল আনতে বাড়িতে ঢুকতেই ওই দুই যুবক ক্যাশবাক্স খুলে টাকা নিয়ে পালাতে যায়। ধরা পড়ার পর তারা টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুরে আজাদ ও আলম বাইক নিয়ে ওই এলাকায় আসে। দু’টি জামা কেনে। পরে দোকান মালিক বাবলু মুর্মুর অনুপস্থিতিতে দুই যুবক ক্যাশবাক্স থেকে হাজার খানেক টাকা নিয়ে পালাতে যায় বলে অভিযোগ। সেই সময় বাবলুবাবুর সন্দেহ হওয়ায় তিনি চিত্কার করলে এলাকার লোক অভিযুক্তদের ধরে হাত বেঁধে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। দু’জনকে আটকে রেখে বাসিন্দাদের একাংশ অভিযুক্তদের বাইকটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। এ দিকে, ওই দোকানের সামনে বাসিন্দারা অভিযুক্তদের তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পুলিশকর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশ ও র্যাফ গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের বাইকটি চোরাই কী না তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। |