খেলাধুলা...
হট লিস্ট
স্পিনার
রবিচন্দ্রন অশ্বিন (চেন্নাই সুপার কিংস): ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রথাগত সিঁড়ি নয়, আইপিএলের ‘লিফট’য়েই উত্থান অশ্বিনের। ওর ‘ক্যারম বল’ এপ্রিল-মে মাসের ভারতীয় উইকেটে ভাল ভোগাবে।
রবীন্দ্র জাডেজা (চেন্নাই সুপার কিংস): গত বার ওকে প্রচুর টাকা দিয়ে কিনলেও চেন্নাইকে ও কিছু দিতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে কিন্তু ওর ভূমিকাটাই আমূল পাল্টে গিয়েছে। ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে ঢুকে এখন দেশের এক নম্বর বাঁ-হাতি স্পিনার। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে চব্বিশ উইকেট। জাডেজাকে সাবধান!
সুনীল নারিন (কলকাতা নাইট রাইডার্স): মিস্ট্রি বোলার নামে ওকে চেনে আইপিএল। গত বছর একাই প্রায় কেকেআর বোলিং সামলেছে নারিন। এখন অফ ফর্মে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিম থেকে বাদ। তবু লিস্টে রাখছি কারণ ওর মিস্ট্রি এখনও ‘সলভড’ হয়নি।
অজন্তা মেন্ডিস (পুণে ওয়ারিয়র্স): পুণে ওয়ারিয়র্স প্রচুর দামে এ বার নিলামে ওকে কিনেছে। স্পিনারদের যুদ্ধে ‘ডার্ক হর্স’।
হরভজন সিংহ (মুম্বই ইন্ডিয়ান্স): এই আইপিএল হরভজনের জীবনের অগ্নিপরীক্ষা। এই টুর্নামেন্টটা ভাল গেলে আবার টেস্ট টিম, ওয়ান ডে টিমে ঢুকবে। না পারলে? আমি অন্তত বিশেষ আশা দেখছি না।
এ ছাড়া নজরে রাখুন: অখিলা ধনঞ্জয়, মুথাইয়া মুরলীধরন, ভেত্তোরি।
পেসার
মর্নি মর্কেল (দিল্লি ডেয়ারডেভিলস): আইপিএল ফাইভে দিল্লি সেমিফাইনালে গিয়েছিল ওর জন্য। বিশ্বের প্রথম তিন সেরা ফাস্ট বোলারের মধ্যে এক জন।
ডেল স্টেইন (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ): বিশ্বের এক নম্বর ফাস্ট বোলার। কেমন ফর্মে? ইউটিউব খুলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ দেখুন।
লাসিথ মালিঙ্গা (মুম্বই ইন্ডিয়ান্স): টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে নিখুঁত পেসার। ব্যাটসম্যানকে মারার জায়গা দেবেই না। মাঝে মাঝে বিষাক্ত ইয়র্কার আছড়ে পড়বে।
উমেশ যাদব (দিল্লি ডেয়ারডেভিলস): দ্রুততম ভারতীয় পেসার। চোটের জন্য বহু দিন বাইরে। আইপিএলে ওর ফর্ম, ফিটনেস থেকে আন্দাজ পাওয়া যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কোন উমেশকে পাব।
এ ছাড়া নজরে রাখুন: সামি আহমেদ, অশোক দিন্দা, ভুবনেশ্বর কুমার, শ্রীসন্থ।
ওপেনার
বীরেন্দ্র সহবাগ (দিল্লি ডেয়ারডেভিলস): মন বলছে, এই আইপিএলটা ওর হতে যাচ্ছে। টেস্ট টিম থেকে বাদ পড়ার পর ওর মধ্যে ফিরে আসার জিঘাংসা থাকবে। ওর দরকার শুধু ধারাবাহিকতা।
গৌতম গম্ভীর (কলকাতা নাইট রাইডার্স): অবস্থা, পরিস্থিতি দিল্লির বন্ধুর মতো। উদ্বোধনী ম্যাচটা দুর্ধর্ষ হতে যাচ্ছে। দু’টো টিমেই ক্ষতবিক্ষত দুই নায়ক। আইপিএলে গম্ভীর সব সময়ই বিপজ্জনক। ফর্মে ফিরলে একাই বিপক্ষকে শেষ করে দেবে।
ফাফ দু’প্লেসি (চেন্নাই সুপার কিংস): আইসিসি-র ইমার্জিং প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার পুরস্কার ওরই প্রাপ্য। তিনটে ফর্ম্যাটেই অসাধারণ ওপেনার।
ক্রিস গেইল (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু): একটা কথাই বলা যায়। আইপিএল এমন সুপারহিট হয়েছে গেইলের ব্যাটিংয়ের জন্য। প্রাইসলেস সুপারস্টার।
এ ছাড়া নজরে রাখুন: উন্মুক্ত চন্দ, মাহেলা জয়বর্ধনে।
মিডল অর্ডার
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (চেন্নাই সুপার কিংস): এই মুহূর্তে ক্রিকেট বিশ্বের সেরা ফিনিশার। আশেপাশে কেউ নেই।
সুরেশ রায়না (চেন্নাই সুপার কিংস): আইপিএলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান। সিএসকে মিডল অর্ডারের স্তম্ভ।
বিরাট কোহলি (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু): গত এক বছরে দেশের সেরা ওয়ান ডে প্লেয়ার। ওয়ান ডে বা টি-টোয়েন্টিতে যে কোনও বোলিংকে শেষ করে দেবে।
এবি ডে’ভিলিয়ার্স (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু): তিনটে ফর্ম্যাটে বিশ্বের সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ইম্প্রোভাইজেশন অসাধারণ।
যুবরাজ সিংহ (পুণে ওয়ারিয়র্স): টি-টোয়েন্টি ম্যানুয়্যালে থাকবে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ওর মারা ছ’টা ছক্কা। ক্যানসার সারিয়ে এসে টি-টোয়েন্টিতেই বেশি সাবলীল।
এ ছাড়া নজরে রাখুন: রোহিত শর্মা, অম্বাতি রায়ডু, ব্র্যাড হজ।
অলরাউন্ডার
অ্যালবি মর্কেল (চেন্নাই সুপার কিংস): আইপিএলের সবচেয়ে ধারাবাহিক অলরাউন্ডার। বলে তো বটেই, চাপের মুখে মারকুটে ব্যাটিংয়েও ম্যাচ জিতিয়ে দেবে।
জাক কালিস (কলকাতা নাইট রাইডার্স): চলতি বছরে অতটাও ফর্মে নেই। কিন্তু ওর অভিজ্ঞতা আর উপস্থিতি টিমের কাছে বাড়তি মোটিভেশন। বোলিং ওপেন করেও কেকেআর-কে প্রচুর ম্যাচ জিতিয়েছে।
শেন ওয়াটসন (রাজস্থান রয়্যালস): যদি ব্যাটের সঙ্গে বলটাও করে, কালিসের চেয়ে কম যাবে না।
এ ছাড়া নজরে রাখুন: লক্ষ্মীরতন শুক্ল। স্টুয়ার্ট বিনি। অভিষেক নায়ার। আজহার মেহমুদ।
ক্যাপ্টেন
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (চেন্নাই সুপার কিংস): সীমিত ওভারে দুর্ধর্ষ অধিনায়ক। মাঝে মাঝে এমন ফাটকা খেলে দেবে যে, বিপক্ষ কিছু বোঝার আগেই ম্যাচ শেষ।
গৌতম গম্ভীর (কলকাতা নাইট রাইডার্স): আইপিএল ফাইভ চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক। পারফর্ম করে টিমকে টানে।
মাহেলা জয়বর্ধনে (দিল্লি ডেয়ারডেভিলস): যেমন ধুরন্ধর ব্যাটসম্যান, তেমন ক্যাপ্টেন। প্রচণ্ড ইনভলভড। প্লেয়ার্স ক্যাপ্টেন।
বিরাট কোহলি (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু): অসম্ভব আগ্রাসী। স্লো মোশনে কিছু করা ওর আসে না।
রিকি পন্টিং (মুম্বই ইন্ডিয়ান্স): বিশাল অভিজ্ঞতা। কেকেআরে থাকার সময় অধিনায়ক ছিল না, কিন্তু ওর কথায় টিম সম্মোহিত হয়ে পড়ত।


মালিঙ্গাই টি-টোয়েন্টির
সব চেয়ে নিখুঁত পেসার

আইপিএলটা সহবাগের
হতে যাচ্ছে!

স্টেনের দুর্ধর্ষ ফর্ম
অন্যের ত্রাস

এপ্রিল-মে’র উইকেটে
অশ্বিনের ক্যারম বল মারাত্মক


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.