|
|
|
|
|
|
|
নাটক সমালোচনা... |
|
অন্তরেই রয়ে গেল |
মেঘনাদ ভট্টাচার্যের আরও এক সৃষ্টি। ‘ধ্রুবতারা’ নাটকে। লিখছেন বিপ্লবকুমার ঘোষ |
মানুষের হৃদয় কোনও বাঁধাধরা গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। আর তাই হৃদয়বৃত্তির যাত্রাপথ সরলরেখায় চলবে না এটাই তো স্বাভাবিক। পরিণাম? অন্তরের নিয়ম আর সংসারের নিয়মে টানাপোড়েন চলতেই থাকে। সংঘাতও বলা যায়। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় কী? এমন বিশৃঙ্খলা সামলে চলাও যে বড় দায়। যে হয় ভুক্তভোগী, সেই বোঝে এমন দোলাচলে তার পরিণতি কোন খাদের কিনারে গিয়ে দাঁড়াবে। অবশ্য এমন অবস্থায় কেউ কেউ নিজেকে গুটিয়ে নিতে চান, যাতে পৃথিবীর কোনও নিয়ম তাকে ছুঁতে না পারে। আবার কেউ হয়তো এরই পরিপ্রেক্ষিতে মানসিক সুস্থতা সম্পর্কেই সন্দিহান হয়ে ওঠেন। কিন্তু সত্যকে অস্বীকার করা যায় কি? যায় না। সেটা উপলব্ধি করা যায় যেখানে সেই সত্য ঘুরে ফিরে আঁকড়ে ধরে সেই মানুষটিকে। |
|
এমনই জীবনবৃত্তের নানা চরিত্রের আনাগোনায় মেঘনাদ ভট্টাচার্যের নির্দেশনায় ‘ধ্রুবতারা’ নাটকটি যেন অন্তরের দিক নির্দেশ করে। নাটক তো নয়, অন্য অনুভূতি। প্রতি মুহূর্তেই নাটকের নির্যাসে প্রভাবিত হন দর্শক। প্রত্যক্ষ করেন জীবনের অন্য দিকটিও। বলতে দ্বিধা নেই, মেঘনাদ জীবনের নানা দিককে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। দর্শকরা চমকে ওঠেন, কোনওটাই তো কাল্পনিক মনে হচ্ছে না। মঞ্চ হয়ে ওঠে জীবন ও সমাজের প্রতিচ্ছবি। মেঘনাদের সার্থকতা সেখানেই। ধন্যবাদ উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে। জীবনে যে আরও একটি দিক আছে তা তিনি সুন্দর ভাবে দেখাতে পেরেছেন। এই নাটকের মূল চরিত্র ঋত্বিক সেন অবশেষে যে সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন তার ষোলো আনা কৃতিত্বই তো মেঘনাদের। নাটকের চরিত্র বিন্যাসে নির্দেশকের এক অদ্ভুত জাদুশক্তি কাজ করে। না হলে প্রত্যেকের অভিনয় কী করে মিলে যায় নাটকের চরিত্রের সঙ্গে? এমন প্রশ্ন শোনা গেল প্রেক্ষাগৃহ ছেড়ে বেরোবার মুখেও। কৃষ্ণা সান্যাল, রত্না সরকার, ভাস্বতী চক্রবর্তী, সমীরণ ভট্টাচার্য, ইন্দ্রজিতা চক্রবর্তী প্রমুখ কুশীলবরা প্রত্যাশার বাইরে অভিনয় করেছেন। সঙ্গীতে মুরারী রায়চৌধুরী, আলোয় জয় সেন। সৌমিক-পিয়ালির মঞ্চ, পঞ্চানন মান্নার রূপসজ্জা অপূর্ব। |
|
|
|
|
|