টানা ন’দিন থেকে বিদ্যুত্হীন অবস্থায় কাটছে মালবাজারের মেটেলি ব্লকের কয়েকশো পরিবারের। বাতি জ্বেলে আলোর ব্যবস্থা করবেন তেমন কোরোসিন তেলও মিলছে না। বিকেলের পরে অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে পশ্চিম শালবাড়ি গ্রাম। আলো না-থাকায় সন্ধ্যের পরে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। অভিযোগ উঠেছে, সমস্যার কথা কয়েকবার বিদ্যুত্ বন্টন নিগমের কর্তাদের জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে শুক্রবার ছুটির দিন থাকলেও গ্রামের ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা মালবাজারে নিগমের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায়।
যদিও বিদ্যুত্ বন্টন নিগমের মালবাজার স্টেশন সুপার দীপক সামন্ত উদাসীনতার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যাওয়ায় পশ্চিম শালবাড়ি গ্রামে বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দিয়েছে। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।” ওই গ্রামে আড়াইশো পরিবার বসবাস করে। বিদ্যুত্ না-থাকায় দিঘলটারি, ঝিরকাধুরা, বগিলাধুরা এলাকা বিকেলের পর থেকে অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা নিতেন রায়, আলিউল ইসলাম জানান, লন্ঠন জ্বালিয়ে আলোর ব্যবস্থা করবেন উপায় নেই। কেরোসিন তেল মিলছে না। ছিটেফোটা যতটুকু মিলছে তা দিয়ে প্রয়োজনের সময় বাতি জ্বেলে কাজ চলছে। অভিযোগ উঠেছে, টানা ন’দিন ওই পরিস্থিতি চললেও বিদ্যুত্ বন্টন নিগমের কেউ গ্রামে যাননি। বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম শালবাড়ি এলাকার সদস্য পুলেশ রায় বলেন, “বিদ্যুতের লাইন নাকি ট্রান্সফরমার খারাপ হয়েছে বুঝতে পারছি না। সমস্যার কথা বিদ্যুত্ বন্টন নিগমের কর্তাদের জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরা গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছেন না।”
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে ওই এলাকায় প্রথম বিদ্যুত্ সংযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু শুরু থেকে পরিষেবায় সমস্যা দেখা দেয়। প্রায়ই এলাকায় বিদ্যুত্ থাকে না বলে অভিযোগ। সমস্যা মেটাতে কয়েক সপ্তাহ কেটে যায়। বাসিন্দারা জানান, বিদ্যুত্ বিপর্যয়ের কারণে এলাকায় চিতাবাঘ ও হাতির উপদ্রব বেড়েছে। |