হোলির উত্সবে সামিল হওয়ার পরে গাড়ির বিল নিয়ে গণ্ডগোলে কার্শিয়াংয়ের মহকুমাশাসকের অফিসের নাজিরকে ছুরি মারার অভিযোগ উঠেছে ছোট গাড়ির এক চালকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মহকুমাশাসকের অফিস চত্বরেই। পুলিশ জানায়, জখমের নাম কুমার প্রধান। তিনি শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে আইসিইউ-তে ভর্তি। তাঁর পেটের বাঁ দিকে ছুরি দিয়ে দু’বার আঘাত করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত দেবেন রাউতকে গ্রেফতার করেছে। তিনি মহকুমাশাসকের অফিসের একটি ভাড়ার গাড়ি চালাতেন।
দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “জখমের অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে ধরা হয়েছে। ধৃত পাল্টা একটি অভিযোগ করেছেন। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।” কার্শিয়াংয়ের মহকুমাশাসক রঞ্জন ঝাঁ বলেন, “ভাড়া গাড়ির বিল নিয়ে গণ্ডগোলে এমন হয়েছে বলে জেনেছি। নাজিরবাবু জখম থাকায় এখনও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। পুলিশ ঘটনা খতিয়ে দেখছে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েক মাস অফিসের জন্য একটি ছোট গাড়ি ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মহকুমা প্রশাসন। দেবেনবাবুর মাধ্যমে গাড়িটি ভাড়া নেওয়া হয়। চালক ছিলেন দেবেনবাবু নিজেই। গাড়ি ভাড়া নেওয়া থেকে বিল মেটানো, সবই দেখাশোনা করতেন নাজিরবাবু। ধৃত পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি ভাড়া বাকি ছিল। তা মেটানোর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ আগ্রহ দেখাচ্ছিল না। ওই সন্ধ্যায় মহকুমশাসকের অফিস চত্বরে একটি ঘরে হোলির আনন্দে মেতেছিলেন কুমারবাবু, দেবেনবাবু-সহ কয়েকজন। সেখানেই দু’জনের মধ্যে বিল নিয়ে বচসা বাধে। অভিযোগ, ঘর থেকে বেরিয়ে দু’জনে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। ছুরি বের করে কুমারবাবুর পেটে আঘাত করেন দেবেন। কুমারবাবু লুটিয়ে পড়লে দেবেন পালিয়ে যায়। কুমারবাবুকে প্রথমে কার্শিয়াং হাসপাতাল, পরে রাতেই শিলিগুড়ির বর্ধমান রোড লাগোয়া এক নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। চিকিত্সক বিবেক সরকার বলেন, “কুমারবাবুর পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল।” দেবেন ছুরি কোথা থেকে পেল বা ঘটনা পরিকল্পিত কি না, পুলিশ খতিয়ে দেখছে। |