কয়েক জন যুবককে মারধর করার অভিযোগে এক দল গ্রামবাসী ভাঙচুর চালালেন এক তৃনমূল যুব নেতার বাড়িতে। পুলিশ সূত্রের খবর, বান্টি সরকার নামের ওই নেতা খারিজা বেরুবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার সরকার পাড়া এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার গিয়ে বাসিন্দাদের হাতে মার খান জলপাইগুড়ি ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপি রায়ও। গুরুতর আহত হয়ে তিনি জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “দু’পক্ষই অভিযোগ করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
সরকারপাড়ায় তৃণমূল যুব নেতা বান্টিবাবুর বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় কেউ এখনও গ্রেফতার হয়নি। তৃণমূল ঘটনার জন্য সিপিএমকে দায়ী করেছেন। যদিও সিপিএমের তরফে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বান্টি সরকার বন্ধুদের নিয়ে রাস্তার ধারে বসেই মদ্যপান করছিলেন। সেই সময় ঘুঘুডাঙা থেকে এলাকার অন্য তিন জন যুবক ফিরছিলেন। রাস্তার ধারে বসে প্রকাশ্যে মদ খেতে দেখে তাঁরা বাইক থামিয়ে হাসাহাসি করেন। সেই সময় বান্টিবাবু তাঁদের মদের খালি বোতাল ছুঁড়ে মারেন বলে অভিযোগ। এক যুবকের হাতে ভোজালির কোপও মারা হয় বলে অভিযোগ। তিন যুবক কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন। পুলিশ জানিয়েছে, এর পরে এলাকার কয়েকশো লোক ওই নেতার বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর শুরু করে। দলীয় সূত্রের খবর, বাড়ি থেকেই কোনওক্রমে বান্টিবাবু সদর তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি বাপিবাবুকে টেলিফোন করেন। তিনি ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত জনতা তাঁকেও পেটান।
জলপাইগুড়ির ডিএসপি প্রভাত চক্রবর্তী বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাতেই ওই তৃণমূল যুব নেতার বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট বসানো হয়। জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি বুবাই কর বলেন, “সিপিএম পরিকল্পিত ভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। খারিজাবেরুবাড়ি, নন্দনপুর বোয়ালমারি এলাকায় তৃণমূলের আধিপত্য সহ্য করতে না পেরে এই ঘটনা ঘটনো হয়েছে।”
বোয়ালমারি পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য যতীন বিশ্বাস অবশ্য বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। বান্টির বাড়িতে গোলমালের খবর পেয়ে আমি থানায় খবর দিই। ঘটনার পিছনে কোনও রাজনীতি নেই। দু’পক্ষই তৃণমূলের লোকজন। আমাদের কেন জড়ানো হচ্ছে বুঝতে পারছি না।” |